মদারীপুর সদর হাসপাতালের সাবেক ক্যাশিয়ার টি.এম কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে দুদুকের দেয়া দুটি অর্থ আত্মসাতের মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে ফরিদপুর স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোঃ মতিয়ার রহমান। তিনি বর্তমানে শরীয়তপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হিসাব রক্ষক হিসেবে কর্মরত। টি.এম কামরুল হাসান মাদারীপুর জেলার বাদশা তালুকদারের পুত্র।
গত সোমবার ও বুধবার এই রায় প্রদান করা হয়। রায ঘোষনার সময় অভিযুক্ত পলাতক ছিলেন। স্পেশাল জজ আদালতের মামলা নম্বর দুটি হলো ৫০/১৫ ও ৫৯/১৫।
গত সোমবার ৫০/১৫ নং মামলার রায়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত হওয়ায় দ্যা পেনাল কোড, ১৮৬০ এর ৪০৯ ধারায় দোষি সাব্যস্ত করে দুই বছর সশ্রম কারাদন্ড ও ৩৫৮৭৫/= টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং একই আইনের ৪২০ ধারায় তাকে এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ২০০০০/= টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং উক্ত আইনের ৪৬৭ ধারায় তাকে এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ২০০০০/= টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় তাকে দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ২০০০০/= টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
গত মঙ্গলবার ৫৯/১৫ নং মামলার রায়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত হওয়ায় দ্যা পেনাল কোড, ১৮৬০ এর ৪০৯ ধারায় দোষি সাব্যস্ত করে এক বছর সশ্রম কারাদন্ড ও ৬৮১৯.৪৫/= টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং একই আইনের ৪২০ ধারায় তাকে ছয় মাসের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫০০০/= টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো পনের দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং উক্ত আইনের ৪৬৭ ধারায় তাকে ছয় মাসের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫০০০/= টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো পনের দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় তাকে এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০০০০/= টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
দুটি মামলায় রায়ের অপরাধের সাজা একত্রে গননা করা হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলা দুটি পরিচালনা করেন দুদুকের আইনজীবি বিজ্ঞ পিপি এ্যাড. মজিবর রহমান ও বিজ্ঞ পিপি এ্যাড. কুবাদ হোসেন।
.jpg)
