ডেস্ক খবর:সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে শিশু তোফাজ্জলকে নৃশংসভাবে হত্যায় দায় স্বীকার করেছেন সন্দেহভাজন হিসেবে আটক সারোয়ার হাবিব রাসেল।
মঙ্গলবার দুপুর ১টা থেকে ৫টা পর্যন্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শুভদ্বীপ পালের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সারোয়ার হাবিব রাসেল ওই উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউপির চারাগাঁও সীমান্তের বাঁশতলা গ্রামের হাবিবুর রহমান হবির ছেলে। তিনি নিহত তোফাজ্জলের চাচা হন। তার ঘর থেকেই রক্তমাখা ভেজা লুঙ্গি, বালিশের দুটি কভার, ৮০ হাজার টাকা মুক্তিপণ চেয়ে লেখা চিরকুটের বাকি অংশ উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার রাতে সুনামগঞ্জের এসপি মো. মিজানুর রহমান বলেন, শিশু তোফাজ্জলের চাচা রাসেল হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডে আরো কয়েকজন জড়িত আছে। তদন্ত শেষে সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমে হত্যার কারণ ও আসামিদের তথ্য জানানো হবে।
৮ জানুয়ারি বিকেলে গ্রামের মাঠে ওয়াজ শুনতে গিয়ে নিখোঁজ হয় শিশু তোফাজ্জল হোসেন। পরদিন এ ঘটনায় থানায় জিডি করেন তার বাবা জোবায়ের হোসেন। ১১ জানুয়ারি ভোরে বাড়ির পেছন থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় তোফাজ্জলের পা ভাঙা ও চোখ তোলা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় তোফাজ্জলের ফুফু শিউলি, শিউলির ফুফাত ভাই রাসেল, চাচা লোকমান হোসেন, সালমান হোসেন, শিউলির ফুফা হাবিবুর রহমান হবি, শ্বশুর কালা মিয়া, স্বামী সেজাউল কবিরসহ সাতজনকে আটক করে পুলিশ। পরে আদালতের মাধ্যমে তাদের রিমান্ডে নেয়া হয়।

