ভুয়া পুলিশের ছিনতাই কৌশল ফাঁস - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

শিরোনাম

Thursday, January 16, 2020

ভুয়া পুলিশের ছিনতাই কৌশল ফাঁস

desk//crimeশরীরে পুলিশের পোশাক। পোশাকে রয়েছে এসআই’র ব্যাজ। সঙ্গে রয়েছে পুলিশের ব্যবহৃত সবধরনের সরঞ্জাম। কোনো মানুষের বুঝার উপায় নেই, তারা আসল নাকি নকল পুলিশ। তাই পুলিশ পরিচয়ে সহজেই করা হতো ছিনতাই। সেই ভুয়া পুলিশ চক্রের প্রধান সবুজ সরদারকে আটক করেছে পুলিশ। এরপর আটক সবুজ পুলিশের কাছে ছিনতাইয়ের কৌশল জানিয়েছে।


আটক শরীয়তপুরের জাজিরার দুবিসায়ওবর গ্রামের আব্দুল মালেক সরদারের ছেলে। বুধবার দুপুরে মুন্সিগঞ্জের শ্রীপুর থেকে তাকে আটক করা হয়। ওই সময় তার দুই সহযোগী পালিয়ে যায়।



সবুজ পুলিশকে জানায়, ছিনতাইয়ের জন্য তারা চেকপোস্ট বসাতো। এরপর গাড়ি থামিয়ে কাগজ চেক করার নামে যাত্রীদের সঙ্গে থাকা মূল্যবান জিনিস ছিনতাই করতো।

পুলিশ জানায়, বুধবার সকালে জাজিরা থেকে মাওয়া আসেন সবুজ। দুই সহযোগীসহ দোহার এলাকার একটি ট্রলারে উঠে ইয়াবা সেবন করেন তারা। পরে সবুজ পুলিশের পোশাক পরে সড়কে নেমে কথিত চেকপোষ্ট বসান। দুপুরের আগে দোহার এলাকায় একটি প্রাইভেটকারকে থামান তিনি। গাড়িটিতে ছিলেন সৌদি প্রবাসী বাচ্চু মোল্লা ও তার পরিবার। তিনি বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিলেন। কাগজ দেখার নাম করে প্রবাসীর দুটি ব্যাগ, মোবাইল, স্বর্ণালংকার ও পাসপোর্ট হাতিয়ে নেন সবুজ।

এদিকে, দুপুরে পুলিশের পোশাক পরে শ্রীনগরের বাড়ৈখালী আলমপুর সড়কে চেকপোষ্ট বসায় ছিনতাইকারী চক্রটি। ওই সময় সিয়াম নামের এক যুবক মোটরসাইকেল নিয়ে কথিত চেকপোস্টে পৌঁছালে থামার সংকেত দেন সবুজ। সবুজ কাগজ দেখার নাম করে মোটরসাইকেলটি ছিনতাই করেন। তাৎক্ষণিক সিয়াম ঘটনাটি তার ঘনিষ্ঠদের জানিয়ে দেন। এ খবর পেয়ে হাঁসাড়া এলাকার লোকজন ছিনতাইকারী ধরতে ব্যারিকেড দেয়। এছাড়া শ্রীনগর থানার দুটি পুলিশের টিম ছিনতাইকারী ধরতে তৎপরতা চালায়।



এক পর্যায়ে এসআই আব্দুল কাদিরের সামনে ছিনতাইকারী সবুজ পড়ে যান। এতে তিনি পালানোর চেষ্টা করেন। তবে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সবুজকে আটক করা হয়। অন্যদিকে ছিনতাই করা মোটরসাইকেল নিয়ে সবুজের দুই সহযোগী পালিয়ে গেছে। ওই সময় সবুজের কাছ থেকে পুলিশের ব্যবহৃত বেশ কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

শ্রীনগর থানার ওসি হেদায়াতুল ইসলাম ভূঞা জানান, সবুজের সহযোগীদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া পুলিশের পোশাক পাওয়ার ব্যাপারে সবুজকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

No comments: