নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখোশধারীদের হামলার ঘটনায় উত্তাল ভারত, আটক ৪ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

সোমবার, জানুয়ারী ০৬, ২০২০

নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখোশধারীদের হামলার ঘটনায় উত্তাল ভারত, আটক ৪

সময় সংবাদ ডেস্ক//
জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) ক্যাম্পাসে মুখোশধারীদের হামলার ঘটনায় ভারতজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত ওই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি দিল্লি পুলিশ। কেবল চার জন ‘বহিরাগত’কে আটক করতে পেরেছে দিল্লি পুলিশ। এদিকে, পরিস্থিতি আঁচ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরকে তলব করেছেন মানব সম্পদ উন্নয়ন সচিব। আজ সোমবার তাঁদের দু’জনকে দেখা করতে বলা হয়েছে।

এর আগে, রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মুখোশ পরে কয়েকজন যুবক এ হামলা চালায়। এতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ গুরুতর আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা সুচরিতা সেন। এ ঘটনায় মুহূর্তের মধ্যে গোটা ক্যাম্পাসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। 

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, আহতের সংখ্যাটা ২০-এর বেশি। সোমবার সকাল থেকেই অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে বিক্ষোভ। পরিস্থিতি সামলাতে রয়েছে পুলিশও। পাশাপাশি আজই বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল।
এদিকে, ওই ঘটনা নিয়ে উপাচার্যের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ। একই সঙ্গে দিল্লি পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সংসদের সদস্যরা। রবিবার মাঝরাতের পর, ছাত্র সংসদের তরফে জারি করা একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘যে হামলা আজ ঘটেছে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং তার অন্তরঙ্গ বন্ধুদের হতাশার ফলাফল। কিন্তু, এই ঘটনাক্রম স্পষ্ট করে দিচ্ছে দিল্লি পুলিশের লজ্জাজনক কাহিনী যারা এবিভিপি (আরএসএসের ছাত্র সংগঠন)'র গুণ্ডাদের নিরাপদে চলে যেতে সাহায্য করেছিল। প্রশাসন দিনের পর দিন চেষ্টা করেও শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ-আন্দোলন ভাঙতে পারেনি। তাই, গত ৪ জানুয়ারি থেকে এবিভিপি সমর্থকরা উপাচার্যের পোষা গুন্ডা হিসেবে ক্যাম্পাসে ঢুকে শিক্ষার্থীদের মারধর করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।’’

ইতিমধ্যেই পুলিশের কাছে চারটি দাবি পেশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, জামিয়া মিলিয়া এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। তার মধ্যে রয়েছে জখম শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা এবং অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিও। যদিও, গতকাল হামলা নিয়ে অভিযোগের পাহাড় জমা হলেও সোমবার সকাল পর্যন্ত চারজনকে আটক করতে পেরেছে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই হামলার ঘটনায় বাড়ছে রাজনৈতিক চাপও। গতকালই ওই ঘটনাকে ‘গণতন্ত্রের লজ্জা’ আখ্যা দিয়ে টুইটারে সোচ্চার হয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। দীনেশ ত্রিবেদীর নেতৃত্বে সেখানে প্রতিনিধি দলও পাঠাচ্ছে তৃণমূল। এই ঘটনা নিয়ে রাজপথে নামতে চলেছে 

Post Top Ad

Responsive Ads Here