আবু মুসা,নাটোর প্রতিনিধি:
নামমাত্র উপস্থিতি নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে বনপাড়া হাইওয়ে পুলিশের জনসচেতনতা মূলক সভা। স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস এমপি সভাস্থলে গিয়ে তার নাম না থাকায় ফিরে গেলে অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষার্থী এবং উপস্থিতি সভা ত্যাগ করে চলে যান। পরে নাম মাত্র কিছু লোকজন নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বনপাড়া হাইওয়ে থানার ওসি শফিকুল ইসলামের দাবী প্রধান অতিথি দেরিতে আসায় কিছু উপস্থিতি কম ছিল তবে জাতীয় বা রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান না হওয়ায় এমপিকে অতিথি করা হয়নি। এ ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছেন এমপি আব্দুল কুদ্দুস।
বুধবার দুপুরে বড়াইগ্রাম উপজেলার কালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বনপাড়া হাইওয়ে পুলিশ এই সভার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাইওয়ে পুলিশের বগুড়া রিজিয়নের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহিদ উল্লাহ্।
“দেখে শুনে রাস্তা হবো পারাপার, নিরাপদে ফিরবো বাড়ী, তাড়াহুড়ার নাই দরকার” এই প্রতিপাদ্যের উপর আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার পারভেজসহ অন্যান্যরা। সভায় শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অবিভাবক সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন থাকার কথা থাকলেও অনুষ্ঠান ছিল অনেকটা জনশূন্য।
স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা শেষে ওই সভায় অংশ নিতে সভাস্থলে যান। গিয়ে ব্যানারে তার না থাকায় সভাস্থল ত্যাগ করে ফিরে যান। তিনি চলে যাওয়ার পর পরই সেখানে থাকা বনপাড়া ফজিলাতুন্নেসা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ তার শিক্ষার্থীদের নিয়ে সভাস্থল ছেড়ে যান। এরপর নেতৃবৃন্দ ও দলীয় নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠান থেকে চলে গেলে পুরো অনুষ্ঠান জনশূন্য হয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে আবদুল কুদ্দুস এমপি বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য এসব অনুষ্ঠানে চীফ গেস্ট হওয়ার কথা। কিন্তু এখানে তা না করে অন্যায় করা হয়েছে। এর জন্য তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ঘৃনায় তিনি কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলতেও লজ্জাবোধ করেছেন।
অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এমপিকে অপমান করে কোন অনুষ্ঠান হলে সেখানে থাকার কোন মানেই হয় না তাই তিনিও অনুষ্ঠানে থাকেননি।
বনপাড়া হাইওয়ে থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘরোয়া অনুষ্ঠান হওয়ায় এমপি সাহেবকে অতিথি করা হয়নি। তবে প্রধান অতিথি দেরিতে আসায় অনুষ্ঠানে কিছু বিঘ্ন হলেও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার পারভেজ বলেন, তিনি অন্য একটি অনুষ্ঠান শেষ করে ফেরার পথে ওই সভায় যান কিছু লোকজন নিয়ে আলোচনা সভায় তিনিও ছিলেন। পরে তিনি শুনতে পান এমপি মহোদয় অনুষ্ঠানে এসে ফিরে যাওয়ার কথা। বিষয়টি দুঃখজনক বলে জানান।
এদিকে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হাইওয়ে পুলিশের বগুড়া অঞ্চলের এসপি শহিদ উল্লাহ বলেন তিনি অনুষ্ঠানে গিয়ে আলোচনা করেছেন তবে কে থাকলো না থাকলো তাতে তার কিছু যায় আসে না।
এদিকে জনসচেতনতা মূলক আলোচনা সভায় যদি জনসাধারণ না থাকে তাহলে এই অনুষ্ঠান করে কি লাভ হবে।

