মেয়েকে ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার, ফেঁসে গেলেন বাবা - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

রবিবার, জানুয়ারি ২৬, ২০২০

মেয়েকে ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার, ফেঁসে গেলেন বাবা

অপরাধ :
নিজের মেয়েকে ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করে নিজেই ফেঁসে গেছেন আজিম উদ্দিন নামের এক বাবা। প্রতিবেশীকে ফাঁসানোর চেষ্টা ও মেয়ের ওপর এসিড নিক্ষেপের দায়ে ওই বাবাকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

রোববার এ রায় দেন সিলেটের এসিড অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বজলুর রহমান। দণ্ডিত আজিম সিলেটের ওসমানীনগরের জাকিরপুরের তৈয়ব উল্লাহের ছেলে। রায়ের সময় আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট জেলা জজ আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম জানান, ২০১০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার তৎকালীন এসআই মোহন লাল তালুকদারের করা মামলায় আজিমের সাত বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। ওই মামলায় সর্বমোট আটজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

ঘটনার বিবরণীতে জানা যায়, আজিম উদ্দিনের মেয়ে পারভিন আক্তার সুজিনা। ২০০৮ সালের ৬ মার্চ সুজিনার ওপর ইনজেকশনের সিরিঞ্জ দিয়ে আব্দুর রাজ্জাক নামের ব্যক্তি এসিড নিক্ষেপ করেছে বলে অভিযোগ করেন বাবা আজিম। ওই সময় সুজিনার পিঠের বামপাশ ও শরীরের অন্যান্য স্থানে ক্ষত তৈরি হলে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই ঘটনায় আব্দুর রাজ্জাককে আসামি করে মামলা করা হয়। সেই মামলায় আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোহন লাল তালুকদার মামলাটির তদন্ত করলে এসিড নিক্ষেপের আসল রহস্য বেরিয়ে আসে।

তদন্তের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আব্দুর রাজ্জাককে হয়রানির উদ্দেশ্যে আজিম উদ্দিন নিজেই মেয়ের ওপর এসিড দিয়ে পিঠ ঝলসে দেন। এরপর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তবে অভিযোগের সত্যতা না পাওয়া ও ঘটনায় বাবার সম্পৃক্ততা পান তদন্ত কর্মকর্তা। এতে আব্দুর রাজ্জাককে মামলা থেকে অব্যাহতি ও একই সঙ্গে আজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে এসিড অপরাধ দমন আইনে মামলার আবেদন জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।

এরপর জেলা ও দায়রা জজ আদালত ২০০৯ সালের ২৭ অক্টোবর তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে আজিমের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী ২০১০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি এসআই মোহন লাল তালুকদার ওসমানীনগর থানায় মামলা করেন।

Post Top Ad

Responsive Ads Here