সংবাদ বাংলা/
নরসিংদীর পলাশে নিখোঁজর পাঁচদিন পর প্রেমিকার বাড়ির সেফটিক ট্যাংক থেকে প্রেমিকের বস্তাবন্ধি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার সন্ধ্যায় পলাশ উপজেলার ভাগ্যেরপাড়া গ্রামের মোকারমের বাড়ির সেফটিক ট্যাংকের ভিতর থেকে প্রেমিক আল কাইয়ুম নিপুণের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় প্রেমিকার বাবা-মাসহ সন্দেহজনক ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ৩ মার্চ সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় আল কাইয়ুম নিপুণ।
নিহত কাইয়ুম নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার গোতাশিয়া গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে। তার বাবা বিদেশ থাকায় সে পরিবার নিয়ে নরসিংদীর ভেলানগর এলাকায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতো।
জানা যায়, নিহত কাইয়ুমের সঙ্গে ভ্যাগের পাড়া গ্রামের মোকারমের স্ত্রী ও এক সন্তানের জননী জেসমিন আক্তার সুমির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। গত ৩ মার্চ সুমির সঙ্গে নিপুণ দেখা করতে গেলে সুমির পরিবারের লোকজন নিপুণকে হত্যা করে মরদেহ গুম করার জন্য বাড়ির পাশে সেফটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখে।
পুলিশ সুমিকে আটক করেছে। পরে তার দেয়া তথ্য মতে সোমবার সন্ধ্যায় নিপুনের মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের ভাই জাহিদুল ইসলাম অপু জানান, কাইয়ুম ৩ মার্চ সন্ধ্যায় বন্ধুর কাছে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। পরে তাকে না পেয়ে ৪ মার্চ নরসিংদী মডেল থানায় একটি নিখোঁজের জিডি করি। সোমবার সন্ধ্যায় নরসিংদীর এডিশনাল এসপির নেতৃত্বে পলাশ থানার ওসি শেখ মো. নাসির উদ্দিন ও নরসিংদী মডেল থানার ওসি সৈয়দুজ্জামানসহ পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে নরসিংদীর এডিশনাল এসপি (সদর সার্কেল) শাহেদ আহমেদ জানান, নিখোঁজের পর নিহতের মোবাইল ফোনের কল লিস্টের সূত্রধরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তদন্তে নামে পুলিশ। কল লিস্টে মোকারমের স্ত্রী সুমীর সঙ্গে একাধিক মোবাইল কলের যোগসূত্র পাওয়া যায়। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুমীকে আটক করা হয়। সুমীর দেয়া তথ্যমতে ওই বাড়ির সেফটিক ট্যাংকের ভিতর থেকে কাইয়ুমের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সুমীসহ ৯ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।