ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহী চারঘাট উপজেলার বথুয়া গ্রামের এক মানুষিক রোগীকে অস্ত্র ও ডাকাতি মিথ্যা মামলা দিয়ে চালান দেয়ার অভিযোগ তুলেছে পরিবার ও স্থানীয়রা। পারিবারিক জমির ভাগ বাটোয়ারের কারনে বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত মাসুম। বাদি তাসকুরণ ও রুবিনা পুলিশের সাথে যোগসূত্রে মিথ্যা অস্ত্র ও ডাকাত মামলায় মাসুম রাজশাহী জেলে। 
আটককৃত মাসুমের মাতা সাহিদা বেগম গনমাধ্যমকে বলেন, তার ছেলে চট্রগ্রামে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতো। হঠাৎ ফোনে জানতে পারে তার ছেলে পাগলের মত আচরণ করছে। যার দরুন গত ১৩ মার্চ তাকে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার নিজ গ্রাম বথুয়াতে নিয়ে আসে। এখানে এসেও সে বিভিন্ন ময়লা আর্বজনা নিয়ে পাগলের আচরণ করতে থাকে। কিন্ত গতকাল সোমবার সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে শুনতে পায় জাফরপুর মোড় থেকে তার ছেলেকে চারঘাট মডেল থানা পুলিশ আটক করেছে।
আটককৃতের মাতা আরো (বক্তব্য রেকড সূত্র মতে) বলেন, তার নিহত স্বামীর দুটি স্ত্রী। দুই পক্ষের ছেলে বিগত দিনের জমি ভাগ বাটোয়ার জন্য প্রথম পক্ষের ছেলে তাসকুরুন মাসুমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় মিথ্যা মামলা দেয়। যার ভোক্তভোগী মাসুম এবং তার মা সাহিদা বেগম।  
বিষয়টি নিয়ে জাফরপুর মোড়ের চা দোকানদার আজিবারসহ উপস্থিত জনতার বক্তব্যে জানাযায়, ওই দিনে সিভিল পোষাকে কিছু লোক আসে পরে থানার পুলিশ এসে মাসুমকে ধরে নিয়ে যায়। প্রকৃত অর্থে তার মুখে মুখে শুনেছে সে ডাকাত, কিন্ত বাস্তবে কখনও ডাকাতি করতে কেউ দেখেনি। অপরাধির শাস্তি হোক তারা চায়, তবে পাগলের বিরুদ্ধে নতুন করে অস্ত্র ও ডাকাতি মামলা এটা কোন আইন।     
আটককৃত মাসুমের বিরুদ্ধে জানতে চাইলে ওসি ক্ষিপ্ত হয়ে মুঠোফনে সাংবাদিককে বলেন, যখন তখন ওসি কে ফোন দেয়াটা একরকম অসন্মান করা। ওসির পরিবার আছে তাদেরকেও বিশ্রামের করতে হয়। পরে তিনি জানান, গতকাল সোমাবার সকাল অনুমান ১১.৩০টার সময় উপজেলা জাফরপুর মোড় থেকে বথুয়া গ্রামের মৃত মেছার আলীর (হেবল) ছেলে মাসুমকে অস্ত্রসহ আটক করেছে থানা পুলিশ। ইতোপূর্বে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে বলে জানান, ওসি সমতি কুমার কুন্ডু। 
চারঘাট সার্কেল সিনিয়র এএসপি নুর আলম বলেন, মাসুমের আটককের সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন না। থানা ওসির মাধ্যমে উক্ত বিষয়টি অবগত আছেন। সাংবাদিকের বা সাধারন জনগন যেকোন সময় ওসিকে ফোন দিবে এটাই সাভাবিক। তাছাড়া ফ্যামিলী টাইম বলতে কোন শব্দ নেই।        
 

.jpg) 
 
 
-26%20October.jpg) 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
