জেলা প্রতিনিধি চাঁপাইনবাবঞ্জ:সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে আজ শনিবার থেকে কোনো বাংলাদেশী পাসপোর্টধারী ভারতে প্রবেশ করতে পারবে না।
কিন্তু ভারতীয় পাসপোর্টধারী যাত্রীরা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবে। গত শুক্রবার সন্ধারপর ভারতীয় মহদিপুর ইমিগ্রেশন সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন পুলিশকে মৌখিক ভাবে জানিয়েছেন বলে সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন সেন্টারের কর্মকর্তা এস আই জাফর ইকবাল জানান। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসন করোনা ভাইরাস সনাক্তে প্রশাসন নানা মূখী পদক্ষেপ নেয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে ৪টি ও ৫ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতে ২ টি করে ১০টি আইসোলেশন ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে। গত বুধবার থেকে ভারত ফেরত যাত্রীদের পূর্নাঙ্গ ঠিকানা লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে। এ দিকে ভারত ভিসা বন্ধ করে দিচ্ছে এ কারনে বন্দরে হঠাৎ করে পাসপোর্টধারী যাত্রীর উপচেপড়া ভীড় লক্ষ করা গেছে।
সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন সেন্টারের কর্মকর্তা এস আই জাফর ইকবাল জানান, গত বৃহষ্পতিবার দেড় শতাধিক যাত্রী পারাপার হলেও গত শুক্রবার বিকাল ৫টা র্পর্যন্ত আড়াই শতাধিক যাত্রী পারাপার হয়েছে। এ বন্দর দিয়ে ভারতগামী যাত্রী মোঃ জহির জানান, তিনি তার ভাইয়ের চিকিৎসার জন্য আরও কয়েকদিন পরে যেতেন। কিন্তু ভারত সরকার ভিসা বন্ধ করে দেয়ায় ধার-দেনা করে গত শুক্রবারই ভারতে চলে যেতে হচ্ছে। শুধু মোঃ জহির নয়, এ রকম অনেক যাত্রী ভিসা বন্ধ হবার আশংকায় গত শুক্রবার ভারতে প্রবেশ ও ভারত থেকে বাংলাদেশে চলে আসছেন। এ ব্যাপারে ইমিগ্রেশন অফিসার বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছেন। তবে তার কাছে কোন এ ধরনের নির্দেশনা নাই বলে জানান।
অন্যদিকে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ লক্ষ করা গেছে। শ্রমিকরা পাসর্পোটধারী যাত্রী বন্ধ হলেও আমদানী রপ্তানী চালু রাখার দাবী জানিয়েছেন।
অপরদিকে করোনসা ভাইরাস সনাক্তকরনে বন্দরে কাজ করছে ৩ সদস্যের মেডিকেল টিম। পাসর্পোটধারী যাত্রী ভারতে গমন বন্ধ হলেও ভারত থেকে আগতদের পরীক্ষার জন্য মেডিক্যাল টিম বন্দরে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা: জাহিদ নজরুল চৌধুরী। তিনি আরও জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভারত ও ইত্যলি ফেরত ২ জনকে হোম কোয়ারেন্টানে রেখে মনিটরিং করা হচ্ছে।