দিল্লিতে মদ কিনলে দিতে হবে ৭০% ‘করোনা কর’ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বুধবার, মে ০৬, ২০২০

দিল্লিতে মদ কিনলে দিতে হবে ৭০% ‘করোনা কর’


দীর্ঘদিন লকডাউন থাকার পর ভারতে বিভিন্ন রাজ্যে মদের দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সোমবার থেকে কার্যকর হয়েছে বিশেষ সেই নির্দেশনা। দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকারও করোনাকালে মদ কেনার ওপর ৭০ শতাংশ ‌‘করোনা কর’ আরোপ করে এক নির্দেশনা জারি করেছে।

মদের দোকান খোলার ওপর কেন্দ্রীয় নির্দেশনা জারির পর ভারতে মদ কিনতে দোকানে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে মানুষ। মানা হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব। গতকাল দিল্লিতে ভিড় সামলাতে পুলিশকে লাঠিচার্জও করতে হচ্ছে। তাই এমন পরিস্থিতিতেই মদের ওপর বিশেষ কর বসাল দিল্লি সরকার।



সোমবার দিল্লি সরকার ঘোষিত ওই নির্দেশনায় বলা হচ্ছে, এখন যারা মদ কিনবেন তাদের অতিরিক্ত ৭০ শতাংশ ‘করোনা কর’ দিতে হবে। মঙ্গলবার অর্থাৎ আজ ৫ মে থেকেই দেশটির জাতীয় রাজধানী অঞ্চল দিল্লিতে কার্যকর হয়েছে বর্ধিত মূল্যে মদ কেনা সংক্রান্ত এই নির্দেশনা। 

পাঁচ সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর সোমবার থেকে দিল্লির মদের দোকানগুলো খুলে দেওয়া হয়। আর এর সঙ্গে সঙ্গে শত শত মানুষ দোকানের সামনে ভীড় করতে শুরু করে। সরকারি এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, মদ কিনতে গিয়ে সামাজিক দূরত্বের নিয়ম না মানায় পরিস্থিতি প্রতিকূলে গেলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সোমবার বলেন, ‘এটা দুর্ভাগ্যজনক যে আজ দিল্লির কয়েকটি দোকানে অরাজকতা দেখা গেছে। যদি আমরা কোনো অঞ্চল থেকে সামাজিক দূরত্ব এবং অন্যান্য নিয়ম লঙ্ঘনের বিষয়ে জানতে পারি তবে সেই অঞ্চল সিল করে শিথিলতা বাতিল করতে হবে।’ 

কেজরিওয়াল অবশ্য বলেছেন, লকডাউনের কারণে রাজ্য সরকারের আয় গত বছরের তুলনায় এ বছর অনেকটা কমেছে। সেদিক থেকে মদের উপর ৭০ শতাংশ অতিরিক্ত কর বাবদ ‘‌করোনা ফি’‌ এর ফলে রাজস্ব বাড়বে অনেকটাই।


তবে মদের ক্রেতারা অবশ্য এই অতিরিক্ত মূল্য পরিশোধে কোনো আপত্তি করেননি। তারা বলছেন, ‘এই কর দিতে আমাদের কোনো অসুবিধা নেই। এটা তো দেশের জন্যই দান করছি।’ তাই করারোপের পরও মদের দোকানগুলোতে দেখা যাচ্ছে লম্বা লাইন, মদ প্রেমীদের আনন্দে যে ভাটা পড়েনি তা স্পষ্ট।

প্রসঙ্গত, ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪৬ হাজার ৪৩৩ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীকে শনাক্ত করা হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ১ হাজার ৫৬৮ জন মারা গেছেন। সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ৮৪৯ জন। 




সময়/দেশ/নাজ

Post Top Ad

Responsive Ads Here