ফরিদপুর প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়ন ও গোপালপুর ইউনিয়নের শত শত বসতবাড়ি এবং হাজার হাজার একর ফসলি জমি, স্কুল ও মসজিদ মধুমতি নদীর ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পেতে মানববন্ধন করেছে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাবাসী। সোমবার দুপুরে টগরবন্দ ইউনিয়নের বাজরা এলাকায় ভাঙ্গন কবলিত এলাকার বাসিন্দারা নদীর ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পেতে এই মানববন্ধন করে। মানববন্ধনে ভাঙ্গন কবলিত ১৫টি গ্রামের কয়েকশত মানুষ অংশ নেয়।
এসময় তারা বলেন, চোখের সামনে বাপ-দাদার পৈত্রিক ভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে যা মেনে নেওয়া কত কষ্টের একমাত্র ভুক্তভোগী হিসেবে আমরাই জানি। তারা বলেন নদীর পানি বাড়তে শুরু করার সাথে সাথে ভাঙ্গন শুরু হয়ে গেছে। এরই মাঝে আমাদের শত শত বসতবাড়ি এবং হাজার হাজার একর ফসলি জমি, স্কুল ও মসজিদ মধুমতি নদীর ভিতর চলে গেছে। এখন অবশিষ্ট যা রয়েছে এবার তাও ভেঙ্গে নিয়ে যাচ্ছে। এরই মাঝে আমাদের একমাত্র যাওয়া আসার রাস্তাটি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন রাতে ভয়ে থাকি এই বুঝি আমাদের ঘর নদী গর্ভে চলে যাবে। মানববন্ধন থেকে তারা অতিদ্রæত ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পেতে সরকার দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহন করবে এই দাবি করেন।
উল্লেখ্য মধুমতি নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার দুটি ইউনিয়নের বাজরা, চর আজমপুর, চরডাঙ্গা, চাপুলিয়া, চরধানাইড়, শিকিপাড়া, চাপুলিয়া সহ প্রায় ১৫টি গ্রাম এখন হুমকির মুখে পড়েছে। এরই মাঝে ১৫ থেকে ২০ হাজার লোকের যাওয়া আসার একমাত্র পাকা সড়কটি নদীগর্ভে বিলীন হয়েগেছে। একই সাথে নদী গর্ভে চলে গেছে গুচ্ছগ্রামের ১২৫টি বাড়ি, বাজরা পশ্চিম পাড়া জামে মসজিদ, চরডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অনেক স্থাপনা। এখন চরম হুমকির মুখে রয়েছে বাজরা সারকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। গত বছরেও এই এলাকার চার থেকে পাচঁশত বাড়ি ঘর নদী গর্ভে চলে গেছে। বিলিন হয়েছে হাজারো একর ফসলী জমি। ভাঙ্গন এলাকার মানুষ সব কিছু হারিয়ে আজ যেন চাপা কান্নায় বোবা হয়ে আছেন।
No comments:
Post a Comment