কুয়াকাটায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১লা জুলাই থেকে পর্যটনশিল্প খুলে দেয়ার আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

শুক্রবার, জুন ২৬, ২০২০

কুয়াকাটায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১লা জুলাই থেকে পর্যটনশিল্প খুলে দেয়ার আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত

রাসেল কবির মুরাদ , কলাপাড়া(পটুয়াখালী)পতিনিধি  //
পর্যটন নগরী সাগরসৈকত কুয়াকাটায় টানা ৩ মাস ১৩ দিন পর করোনা পরিস্থিতির নিয়ম-ণীতিকে সামনে রেখেই সকল প্রকার স্বাস্থ্যবিধী মেনেই কুয়াকাটার হোটলে-মোটেলসহ কুয়াকাটার ট্যুরিজমের সকল সেক্টরকে খোলার অনুমতি দিয়েছেন পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক। বৃহস্পতিবার কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের লিখিত আবেদনে এ আদেশ দেওয়া হয়। এর আগে  পর্যটকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য বাংলাদেশ ট্যুরিজম র্বোডের আয়োজন ও হোটেল-মোটেল ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের সহযোগীতায়  অভিজাত হোটেল  গ্রেভারইনে ৩ দিনের ট্রেনিং উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক। 

তথ্য সূত্রে জানা যায়, মহামারি করোনাভাইরাসের শুরুতেই ১৭ মার্চ কুয়াকাটার পর্যটন শিল্পকে লিখিত ভাবে বন্ধ করে পটুয়াখালী জেলাপ্রশাসক। এরপর সাগরসৈকত কুয়াকাটা টানা ৩ মাস ১৩ দিন বন্ধ থাকে পযর্টন শিল্প। যার ফলে কয়েকশ কোটি টাকা লোকসানের মুখে এখানকার ট্যুরিজমের সাথে থাকা ব্যবসায়ীদের। গত মাসে সারা দেশে গণপরিবহন ছাড়লেও বন্ধ রয়েছে কুয়াকাটার আবাসিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট,পার্ক, ওয়াটার বাস, ট্যুরিস্ট বোট, আচারের দোকান, ছাতা-ব্যঞ্চ, শুটকির দোকান , কাকরা ফ্রাইর দোকান, গুরুত্বপূর্ন শপিং মহল, রাখাইন মহিলা মার্কেটসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ক্ষতির মুখে পরে হাজার কোটি টাকার। এই ব্যবসাকে কেন্দ্র করে বেকার হচ্ছে হাজার হাজার শ্রমিক । কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের একটি প্রতিনিধিদল পটুয়াখালী জেলাপ্রশাসকের সাথে দেখা করলে আগামী ১ জুলাই পর্যটকদের সকল প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে আবাসিক হোটেলসহ সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি প্রদান করে। এ সংবাদ কুয়াকাটায় পৌছলে ব্যবসায়ীদের মাঝে উৎফুল্ল দেখা যায়।  

কুয়াকাটা সী-ট্যুর এন্ড ট্রালেস পরিচালক জনি আলমগীর বলেন, মহামারি করোনায় ব্যবসা বন্ধে আনেক ক্ষতি হয়েছে। সৈকত হোটেলের শেখ জিয়াউর রহমান বলেন, হোটেল বয়দের ট্রেনিং দেয়া হয়েছে যথাযথ চেষ্টা করা হবে পর্যটকদের সুরক্ষা দিতে। অভিজাত হোটেল গ্রেভারইন ম্যানেজার সাজ্জাত মিতুল বলেন, করোনা দূর্যোগে দেশের অনেক অফিস কাজ করছে  আমরাও পারবো পর্যটকদের সুনিশ্চিত সুরক্ষা দিতে। 

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এম এ মোতালেব শরিফ বলেন, কর্মচারীদের স্বাস্থ্য-সুরক্ষার জন্য টেনিং দেয়া হয়েছে এবং জেলাপ্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করায় তিনি অনুমতি দিয়েছেন আগামি ১ জুলাই হোটেল খোলার জন্য। 

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী  এ প্রতিবেদককে বলেন, সরকারের দেওয়া শেষ প্রজ্ঞাপনে শর্তাবলি ও সকল প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে আবাসিক হোটেল খোলা রাখা যেতো। তদুপরিও  কুয়াকাটার হোটেল-মোটেল বন্ধ রাখেন এবং তারা স্বাস্থ্য-সুরক্ষার জন্য কর্মচারীদের ট্রেনিং করিয়েছেন তাই মালিকদের তিনি ধন্যবাদ জানান। আগামী ১লা জুলাই কুয়াকাটা হোটেল-মোটেলসহ ট্যুরিজমের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে এবং সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে বলে তিনি দৃঢ় আশা ব্যক্ত করেন। 

26-06-2020 (AT)

Post Top Ad

Responsive Ads Here