ফরিদপুর প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের দুই ভাই সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জন ও তা পাচারের অভিযোগে ঢাকার কাফরুল থানায় মামলা করেছে সিআইডির ঢাকা মেট্টো পশ্চিম বিভাগের পুলিশ। এছাড়া রবিবার বিকেলে ফরিদপুরের এক নম্বর আমলী আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ফারুক হোসাইন একটি মামলায় রিমান্ড আবেদন শুনানী শেষে দুই ভাইকে দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জানাযায় পাচঁটি মামলায় তাদের দুজনের ২০ দিন রিমান্ড শেষে শহর আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম চৌধুরী এবং জনৈক লস্কর দুলালের মামলায় ষষ্ঠ বারের মতো আরো দুই দিনে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
সিআইডির আনুসন্ধানে তাদের বিদেশে টাকা পাঠানোর পরিমান দুই হাজার কোটি টাকা। ফলে সিআইডির ঢাকা মেট্টো পশ্চিম বিভাগের পুশিল পরিদর্শক এসএম মিরাজ আল মাহমুদ ডি এম পির কাফরুল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন/২০১২(সংশোধনী/২০১৫) এর ৪(২) ধারায় মামলা দায়ের করে।
সিআইডির অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা এসএম মিরাজ আল মাহমুদ বলেন, কোন অপরাধীই আইনের বাইরে থাকতে পারে না। রুবেল-বরকত তার বাইরে নয়। তাদের ব্যাপারে মানি লন্ডারিং এ মামলা হয়েছে। এখন আমরা দ্রæত শোন এ্যারেষ্ট দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে ঢাকায় আনবো এবং প্রাথমিক ভাবে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ব্যবস্থা নেব।
প্রসঙ্গত গত ১৬ মে রাতে জেলা আ.লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে দুই দফা হামলার ঘটনা ঘটে। সুবল সাহার বাড়ি শহরের গোয়ালচামট মহল্লার মোল্লা বাড়ি সড়কে অবস্থিত। এ ঘটনায় গত ১৮ মে সুবল সাহা অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তিদের আসামি করে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর গ্রেফতার অভিযান শুরু হয়। এতে ৭ জুন রাতে দুই ভাই সহ আটক হয় নয়জন। এরপর বরকতের সবেচেয়ে কাছের সেকেন্ড ইন কমান্ড এসও মনির ও রুবেলের ব্যবসায়ীক পাটনার সুমন সাহা সহ কয়েকজন আটক করে। আর এর পর থেকে বেড়িয়ে আসে অনেক অজানা অধ্যায় বলে জানাগেছে পুলিশ সূত্রে।
No comments:
Post a Comment