মেহেরপুরের বামুন্দীতে সুন্দরী হত্যার রহস্য উদঘাটন \ আটক-১ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

শনিবার, জুন ১৩, ২০২০

মেহেরপুরের বামুন্দীতে সুন্দরী হত্যার রহস্য উদঘাটন \ আটক-১


মেহের আমজাদ, মেহেরপুর//
মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার বামুন্দীতে সুন্দরী বেগম (৪৬)  নামের এক গৃহবধূকে হত্যার প্রায় দুই সপ্তাহ পর হত্যার মূল নায়ক জামিরুল ইসলাম জামুকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছেন। জামিরুল ইসলাম ওই হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। জমি বিক্রির টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিতেই এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। সুন্দরী বেগমের একটি জমি আছে যে জমি ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সুন্দরী ক্রেতার নিকট থেকে ৫০ হাজার টাকা অগ্রিম নিয়েছিলেন। সেই টাকা ছিনতাই করতে একজন সহযোগীকে নিয়ে সুন্দরীকে হত্যা করে তার ভাসুরের ছেলে জামিরুল ইসলাম। গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে মেহেরপুর পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য তুলে ধরেন পুলিশ সুপার এস.এম মুরাদ আলি। পুলিশ সুপার বলেন,মামলাটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ও চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা হিসেবে আমলে নিয়ে রহস্য উদঘাটন করার জন্য জেলা গোয়েন্দা শাখাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত ওসি জুলফিকার আলী তদন্ত শুরু করেন। পুলিশের আধুনিক তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে ডিবির একটি চৌকস টিমের সহযোগীতায় হত্যার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত আসামী জামিরুল ইসলাম (৩৩)কে আটক করা হয়। জামিরুল ইসলাম কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার শিতলাইপাড়ার আবু আফফান এর ছেলে। তবে তার সহযোগী পলাতক রয়েছে। তিনি আরো জানান,আসামি আটকের পর ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং জমি বিক্রির টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টার কথাও স্বীকার করে। টাকা দিতে না চাইলে জামিরুল তার সহযোগীকে নিয়ে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটায়। সুন্দরী বেগমের গলায় শাড়ি জড়িয়ে তাকে হত্যা করে। এসময় রুস্তম আলী বাধা দিলে হাত কুড়াল দিয়ে তার উপরও হামলা চালায় আসামিরা। রুস্তম আলীকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুজনই মারা গেছে ভেবে আসামিরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। তবে এ হত্যাকান্ডের সাথে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা সে বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। আটকের পরপরই জামিরুল ইসলাম জামু সুন্দরীকে হত্যার কথা স্বীকার করে এবং মেহেরপুর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পারিবারিক কলহ ও জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে এ হত্যাকান্ড সংঘটিত হয় বলে জানা যায়। আদালতে স্বীকারোক্তি দেওয়ার পর আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) মোস্তাফিজুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম, ডিবি ওসি জুলফিকার আলীসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা । উল্লেখ্য, গত ২৮ মে গাংনী উপজেলার বামুন্দীতে একটি বাড়ি থেকে সুন্দরী বেগম নামের এক মহিলার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ এবং একই ঘরের চৌকির উপর থেকে সুন্দরীর স্বামী রুন্তম আলীকে আহত এবং অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

১৩-০৬-২০২০(AT)

Post Top Ad

Responsive Ads Here