ফরিদপুরে নৌ পুলিশের এক কর্মকর্তার হাতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ডিডিসহ কর্মচারীরা শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

শিরোনাম

Wednesday, July 01, 2020

ফরিদপুরে নৌ পুলিশের এক কর্মকর্তার হাতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ডিডিসহ কর্মচারীরা শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত

 

ফরিদপুর প্রতিনিধি :
ফরিদপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালকের কার্যালয়ে প্রবেশ করে ডিডিসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও শারিরিক ভাবে লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে নৌ পুলিশের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালকের ও নৌ পুলিশের পুলিশের সুপারের কার্যালয় দুইটিই শহরের গোয়ালচামট নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকার পাশাপাশি দুইটি ভবনে অবস্থিত।


পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ড. মোঃ লুৎফর রহমান জানান, মঙ্গলবার বিকাল ৪.১৫ মিনিটে শহরের গোয়ালচামট ১নং সড়ক সংলগ্ন পরিবেশ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ে নৌ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমিত চৌধুরী নেশাগ্রস্থ অবস্থায় হঠাৎ প্রবেশ করে প্রথমে কর্তব্যরত হিসাবরক্ষণ হানিফ মোঃ উজ্জলকে গালিগালাজ করে ও চড় থাপ্পর মারে সেই সাথে পরিদর্শক তুহিন আলম ও সদ্য যোগদানকৃত মহিলা কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক গীতা রানী দাসকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে, পরে আমি তাকে বাধা দিতে এলে আমাকেও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং সিসি টিভির ফুটেজ এর আলামত সহ অফিসের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করার অপচেষ্টা চালায়। 

তিনি আরো জানান, প্রথমে ভেবেছিলাম, সন্ত্রাসী বা ডাকাত কিছু একটা হবে। পরবর্তীতে জানলাম তিনি নৌ পুলিশ ফরিদপুর কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমিত চৌধুরী। তিনি আরো বলেন ওই সময় ওই কর্মকর্তা কিছুটা মাতাল মাতাল ভাব ছিলো তার ভিতর। 


সিসি টিভি ফুটেজে দেখা যায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার যখন অফিসের ভিতর অস্বাভাবিক ভাবে হাটাহাটি করছিলেন, তিনি ২ জন কর্মচারীকে চর-থাপ্পর মারেন, একজনের মুখের মাস্ক টেনে খুলে নেন। কর্মকর্তাদের রুমে সিসি ক্যামেরা না থাকায় রুমের ভিতরের মারপিটের দৃশ্য দেখা যায়নি, তবে এক পর্যায়ে উপ পরিচালক রুম থেকে দৌড়ে বের হয়ে পালিয়ে যান সেটি দেখা যায়। তার পিছনে রুম থেকে সুমিত চৌধুরীসহ আরো কয়েকজনকে বের হয়ে আসতে দেখা যায়। 


খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপক কুমার রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাসুম রেজা। 


নৌ পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আরিফ এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এএসপি সুমিত চৌধুরী এ রকম নেশা গ্রস্থ অবস্থায় থাকে। তার কারণে আমরা কেউ ঠিকমত অফিস করতে পারিনা। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে ৩ বার তার ব্যপারে অভিযোগ দিয়েছি। আমরা মান সম্মানের ভয়ে অফিসে আসতে পারিনা। যে ঘটনাটি ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি চাই তদন্তের মাধ্যমে সঠিক বিচার হোক। অপরাধী যেই হোক না কেন তার বিচার হতে হবে।


জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার মো. আলীমুজ্জামান জানান, দুইজনই সরকারী কর্মকর্তা। প্রথমেই আমরা দুইজনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানিয়েছি। পরিবেশ অধিদপ্তর যদি মামলা করে, তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


জেলা প্রশাসক অতুল সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুরো ঘটনাটি সরকারের উর্দ্ধতন মহলে জানানো হয়েছে।

No comments: