নিজের পরকীয়া ঢাকতে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বৃহস্পতিবার, জুলাই ০৯, ২০২০

নিজের পরকীয়া ঢাকতে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ

 

 স্টাফ রিপোর্টার: 

নিজের পরকীয়া ঢাকতে স্বামীর নামে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী স্বামী। নিজের পরকীয়াকে ঢাকতে এরই মধ্যে ঐ স্ত্রী তার স্বামীর নামে মিথ্যা জিডিসহ তার সুনাম ক্ষুন্ন ও চাকরিচ্যুত করার জন্য মিথ্যা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন। তবে এসকল অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবী করেন অভিযুক্ত স্ত্রী।


ভুক্তভোগী অভিযোগকারী স্বামী ফরিদপুরের কোতয়ালী থানার উত্তর সাদিপুর গ্রামের মানোয়ার হোসেন চৌধুরীর ছেলে  রাজবাড়ী সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মরত চৌধুরী সাজ্জাদ আরেফিন বলেন, আমার স্ত্রী মাসুমা আক্তারী রিতু দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়েছে। বিষয়টি আমি টের পেয়ে একাধিকবার হোটেল ও তাদের ভাড়া করা বাসা থেকে স্থানীয় জনগণ ও   আত্নীয়-স্বজন নিয়ে হাতে নাতে ধরলে সে তার দোষ ঢাকার জন্য আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রিকায় ভিত্তিহীন ও মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করাচ্ছে।


চৌধুরী সাজ্জাদ আরেফিন আরো জানান, তার সব পরকীয়ার প্রমাণ আমার কাছে রয়েছে। তা সময় মতো উপস্থাপন করবো। আমার স্ত্রী ২০১৯ সালের আগস্টের ৭ তারিখে তার প্রেমিক গোয়ালন্দের উজানচর নিলু শেখপাড়ার আমজাদ শেখের ছেলে রবিউল ইসলাম রবির সাথে ফরিদপুরের রাজস্থান আবাসিক হোটেল থেকে আমরা হাতেনাতে আটক করি। পরে সবার উপস্থিতি হোটেলের রেজিস্ট্রার খাতায় তাদের থাকার ফরম তুলে নিয়ে আসি। যাতে দেখা যায়, তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে সেখানে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়েছে।  এ ঘটনায় আমি ফরিদপুরের কোতয়ালী থানায় একটি সাধারন ডাইরি করি। যার নং- ৫৮৭/১৯, তারিখ- ০৯/ ০৮/ ২০১৯।


জিডি করার বিষয়টি আমার স্ত্রী জানতে পেরে রাজবাড়ীর পাংশার রুপসা গ্রামের জমশের আলী মন্ডলের ছেলে মো: মন্জুর হোসেনের পরামর্শে মন্জুরের বন্ধুর আপন ছোট ভাই ফরিদপুর সদর ২ নং পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত এসআই আসলামের সহযোগীতায় ঐদিনই আমাকে জড়িয়ে একটা  জিডি করে কোতয়ালী থানায়।


পরবর্তীতে এসআই আসলামের  সাথেও আমার স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। তার সাথেও অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। গত ১৩ জুন এসআই আসলামের ব্যাচেলার হিসাবে ভাড়া নেওয়া ১নং হাবেলী গোপালপুর সাকিনের জনৈক মোহাম্মাদ আলী স্যারের বাসা (ইয়াছিন কলেজের পিছনে) থেকে সকাল ৯টা ১৫ মিনিটের দিকে স্থানীয় জনগণ তাদেরকে আটক করলে পরে ফরিদপুরের ২ নং পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার রাকিব ঘটনাস্থল থেকে উত্তেজিত জনগণকে শান্তনা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মে আমার স্ত্রী ও তাকে নিয়ে যায় এবং আমার স্ত্রীর ভাই হাসানের জিম্মায় দিয়ে দেন।  এ ঘটনায় ফরিদপুরের বিচক্ষণ ও সৎ পুলিশ সুপার (এসপি) মহোদয় ঐ এসআইকে ক্লোজড করেন এবং তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবেও আশ্বাস দেন।


এঘটনায় আমার স্ত্রী ক্ষুদ্ধ হয়ে মন্জু, রবি ও আসলামের যোগসাজসে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে এবং বিষয়টি নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি না করার জন্য জীবননাশের হুমকি দিয়ে আসছে। যার প্রমাণ রয়েছে।


আমার স্ত্রীর সর্বশেষ ৫ (জুলাই) তার অপকর্ম ঢাকার জন্য আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা অভিযোগ করেছে এবং তা কয়েকটি পত্রিকাতেও ছাপিয়েছে। ঐ অভিযোগে আমার স্ত্রী বলেছে আমি নাকি ৫ জুলাই তাকে বাসায় গিয়ে মারধর করেছি। অথচ ঐ দিন আমি রাজবাড়ীতে ছিলাম। যা আমার বাসার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখলেই প্রমাণিত হবে।

৫ জুলাই ঘটনাটির অনুসন্ধানে গত ৭ জুলাই চৌধুরী সাজ্জাদ আরেফিনের ফরিদপুর বাসায় গিয়ে তার স্ত্রী মাসুমা আক্তারী রিতু , সাজ্জাদের বাবা-মার সাথে কথা হয়। সে সাক্ষাৎকারে রিতু বলেন  তার স্বামী সেদিন ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন না। তবে তার স্বামী তার লোকজন দিয়ে মারপিট করিয়েছেন এবং মাঝে মাঝেই তাকে শারীরিক নির্যাতন করেন। এ সময তিনি তার স্বামীর পরকীয়ার তার কাছে তথ্য রয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান।

তিনি আরো বলেন, সরকারের একটি বড় পদমর্যাদার ব্যক্তি হয়ে নিজ ক্ষমতায় নানা ধরনের অপকর্ম করে আসছে, যা প্রকাশ পেলেও ক্ষমতাশালী ব্যক্তি হওয়ায় কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি। আমার সাদ চৌধুরী (১০) ও সাদি চৌধুরী (২) নামে দুটি পুত্র সন্তান ও আমার আত্মসম্মানের কথা চিন্তা করে এতোদিন তার নির্যাতন মুখ বুজে সহ্য করেছি।

তবে সাজ্জাদ আরেফিনের বাবা-মা ও তার ১০ বছরের শিশু সন্তান এই প্রতিবেদককে বলেন, ৫ জুলাই সাজ্জাদ আরেফিন বাসায় ছিলেন না। যা আমাদের বাসার সিসি ফুটেজ এ প্রমান করবে।

Post Top Ad

Responsive Ads Here