সময় সংবাদ ডেস্ক//
নাটোরের গুরুদাসপুরে স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যুর পর মরদেহ ফেলে চলে গেছে তারই স্বামী সাগর। উপজেলার খুবজীপুর বাজারে মরদেহটি বৃষ্টিতে ভিজতে দেখে সোরগোল পড়ে গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা খোঁজ নিয়ে জানান, খুবজীপুর গ্রামের লিয়াকত সরকারের ছেলে সাগরের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন মৃত আকলিমা।
শ্বশুর বাড়ির লোকজনের দাবি, আকলিমা ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাগরের প্রথম স্ত্রীও সাত মাস আগে বিষপানে আত্মহত্যা করেন। আকলিমা তাড়াশ উপজেলার কুসুম্বী গ্রামের আশরাফ আলীর মেয়ে। খুবজীপুরেই বড় মেয়েকে বিয়ে দেন আশরাফ। সেই সুবাধে একই গ্রামে ভগ্নিপতি টিক্কার বাসায় থাকতেন আকলিমা। সেই সুযোগেই আকলিমার সঙ্গে সাগরের সখ্যতা গড়ে উঠে। একপর্যায়ে প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুতে আকলিমাকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন সাগর।
তবে বিয়ের পর থেকে সংসারে সারাক্ষণ ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকতো। স্বামী সাগরের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ভগ্নিপতি টিক্কার বাসায় গিয়ে গলায় ফাঁস দেন বলে প্রতিবেশীরা জানান। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ডাক্তারের কাছে নিলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর সংবাদে স্বামী সাগর মৃত স্ত্রীকে রেখে পালিয়ে যান।
আকলিমার ভগ্নিপতি টিক্কা জানান, বিয়ের পর থেকেই তার শ্যালিকাকে সাগর অত্যাচার করতেন। মাঝে মধ্যে মারধর করতেন। ঘটনার দিন-মঙ্গলবার আকলিমা আমার বাসায় আসে। সবার অগোচরে ঘরের দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে প্রতিবেশীদের সহায়তায় দরজা খুলে স্থানীয় ডাক্তারের কাছে নিলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. মোজাহারুল ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধার করে রাতেই নাটোর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের ফলাফল পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।