সময় সংবাদ ডেস্ক//
বিয়ের পাঁচ বছর পেরিয়ে গেছে শারমিন-সাইফুল দম্পতির। তাই সন্তানের জন্য মুখিয়ে ছিলেন তারা। আল্লাহর কাছে একটি সন্তান চেয়েছিলেন এ দম্পতি। কিন্তু একজন নয়, একসঙ্গে চার কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন শারমিন। এরইমধ্যে একজন মারা গেছেন। তবুও শারমিন-সাইফুল দম্পতির আনন্দের যেন শেষ নেই।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মেঘনা জেনারেল হাসপাতালে চার কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। সাইফুল ইসলাম-শারমিন বেগম দম্পতির মূল বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল সদরে। কিন্তু স্বামীর চাকরিসূত্রে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরের আবদুল্লাহপুর গ্রামে বাস করেন তারা।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, সন্তান সম্ভবা হওয়ার পর থেকেই শারমিন ভৈরব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. ইসরাত জাহানের পর্যবেক্ষণে ছিলেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে শারমিনের প্রসব ব্যথা উঠলে মেঘনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যার দিকে ডা. ইসরাত জাহানের নেতৃত্বে সিজার শেষে চার কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু শুক্রবার সকালে এক কন্যা মারা গেছে। বাকি তিন কন্যা ও প্রসবকারী মা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, মা ও সন্তানদের বিশেষ চিকিৎসা চলছে। সেখানে উৎসুক বা মানুষের প্রবেশ কমিয়ে দেয়া হয়েছে। সেখানে একমাত্র সন্তানদের বাবা সাইফুল ইসলামকে থাকার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা এক সন্তানের মুখ দেখতে অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু আল্লাহ আমাদের চার কন্যা সন্তান দান করেছেন। আবার একজন পৃথিবী থেকে বিদায়ও নিয়েছে। এখন তিন কন্যা ও তাদের মা সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করি।
গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. ইসরাত জাহান বলেন, নিয়মিত চেকআপে তিন সন্তানের অস্তিত্ব স্পষ্ট ছিল। তাই তিনটি সন্তান হওয়ার ব্যাপারে আমরা ধারণা করি। সেই অনুযায়ী প্রস্তুতিও ছিল। কিন্তু অস্ত্রোপচারের পর চার সন্তানের জন্ম হয়। জন্মের পর এক সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। অস্ত্রোপচার সুষ্ঠু ও নিরাপদভাবে হয়েছে। মাত্র ৩০ মিনিটেই এ অস্ত্রোপচারটি শেষ হয়।
No comments:
Post a Comment