উত্তেজনার মাঝেই বাইডেন-পুতিন বৈঠক আজ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

শিরোনাম

Wednesday, June 16, 2021

উত্তেজনার মাঝেই বাইডেন-পুতিন বৈঠক আজ


 

সময় সংবাদ ডেস্কঃ

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আজ বুধবার শীর্ষ বৈঠকে বসছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দুই নেতা এমন সময় বৈঠকে বসছেন যখন উভয় দেশের দাবি, তাদের মধ্যকার সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। বিভিন্ন ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে মতবিরোধ চরমে পৌঁছেছে। এ অবস্থায় দুই দেশের শীর্ষ নেতার বৈঠক বন্ধুত্বপূর্ণ হবে না বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। 

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসির খবরে বলা হয়েছে, জেনেভায় এই শীর্ষ বৈঠক হবে চলতি বছরে বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক মঞ্চের সবচেয়ে বড় ঘটনা। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর পুতিনের সঙ্গে এটিই বাইডেনের প্রথম বৈঠক। যদিও বিভিন্ন ইস্যুতে ওয়াশিংটন এবং মস্কোর মধ্যে সম্পর্ক টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে।


গত মার্চে এক সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, ভ্লাদিমির পুতিন আসলে ‘একজন খুনি’। এরপর যুক্তরাষ্ট্র থেকে রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠায় রাশিয়া। অন্যদিকে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে মস্কো থেকে ওয়াশিংটনে ফিরিয়ে নেয়া হয়।


নির্বাচনে হস্তক্ষেপের শাস্তিস্বরূপ গত এপ্রিলে রাশিয়ার ওপর কিছু নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। মস্কোর বিরুদ্ধে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলার অভিযোগ করে আসছে ওয়াশিংটন। বর্তমানে দুই জন সাবেক মার্কিন মেরিন সেনা রুশ কারাগারে বন্দি। এত কিছুর পরও দুই দেশের প্রেসিডেন্ট কাল প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হবেন।


এ বৈঠকের বিষয়ে মস্কোর একটি থিংক ট্যাংক রিয়াকের পরিচালক আন্দ্রে কুর্টানভ বলেন, প্রতীকী তাৎপর্যের কথা বিবেচনা করলে এই শীর্ষ বৈঠক বেশ গুরুত্বপূর্ণ; এটি রাশিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রের পাশে এক কাতারে স্থান দিচ্ছে। পুতিনের কাছে এই প্রতীকী ব্যাপারটা কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।


এই বিষয়ে হোয়াইট হাউজ বলছে, তারা রাশিয়ার সঙ্গে একটি স্থিতিশীল এবং অনুমানযোগ্য সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। কিন্তু পুতিনের কাজের ধারা একেবারেই ভিন্ন। তিনি ২০১৪ সালে যখন সৈন্য পাঠিয়ে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রাইমিয়া দখল করে নিলেন, তখন হতে তাকে নিয়ে দুশ্চিন্তা তৈরি হয়েছে। তিনি এরপর কী করবেন, সেটা কেউ অনুমান করতে পারছেন না। রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের অবনতির শুরু তখন থেকে।


রাজনৈতিক বিশ্লেষক লিলিয়া শেভটসোভা মনে করেন, এই শীর্ষ বৈঠকের একটি সম্ভাব্য লক্ষ্য হতে পারে, দুই পক্ষের ‘রেড লাইন’ বা সর্বশেষ সীমারেখা কোথায় সেটা পরীক্ষা করে দেখা। সেই সঙ্গে এরকম একটা উপলব্ধিতে পৌঁছানো যে, আলোচনার মাধ্যমেই এই অতল গহ্বর হতে উঠে আসতে হবে।

No comments: