সময় সংবাদ ডেস্কঃ
লালমনিরহাটে ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর ৩ দিন পর বড় ভাই অভিযোগ করেছেন তার ভাইয়ের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। তাকে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করে সোমবার লালমনিরহাটের এসপির কার্যালয় বরাবর ওই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আব্দুর রশিদের ছোট ভাই আব্দুল জলিল গত ২৩ জুলাই ভোর রাতে মারা যান। পরিবারকে না জানিয়ে গোলাম রব্বানী নামে স্থানীয় এক ওষুধ ব্যবসায়ী তড়িঘড়ি করে লাশ দাফন সম্পন্ন করার চেষ্টা করেন।
পরে বড় ভাই আব্দুর রশিদ খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছে দেখতে পান তার ভাই আব্দুল জলিলের মরদেহ গোসল করিয়ে দাফনের জন্য রাখা হয়েছে। আব্দুর রশিদ তার অভিযোগে আরো উল্লেখ করেছেন তার ভাইয়ের নাক ও দেহের পিছনের অংশে রক্ত ঝরতে দেখেন।
লিখিত ওই অভিযোগে আরো উল্লেখ রয়েছে, আব্দুল জলিলের স্ত্রী মমিনা বেগম ও শহরের তিন দিঘী মাঝাপাড়া বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী রমজান আলীর ছেলে গোলাম রব্বানীর মধ্যে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। আর এর জেরেই জলিল ও মমিনা দম্পতির মাঝে বিভিন্ন সময় ঝগড়া হতো। জলিলের স্ত্রী মমিনা, প্রেমিক রব্বানী ও ভাই আশরাফুল ইসলাম গত ২২ জুলাই রাত ১২টা থেকে রাত ২ টার মধ্যে জলিলকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে।
ওই রাতে কি হয়েছিলো অভিযুক্ত মমিনার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাতে বাড়িতে আশার পর তাকে খাইতে বলি কিন্তু সে না খায়া শুয়ে পরে। তার কাছে কয়েকজন টাকা পাইতো তাই সে খুব চিন্তায় ছিলো। আমি পাশের বিছানায় দুই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে ঘুমাই। ফজরে নামাজ পড়তে উঠে বাইরে থেকে এসে তাকে ডাক দিলে তার কোনো সাড়াশব্দ পাই না। পরে আমি চিল্লানী দিলে আশপাশের লোকজন চলে আশে এবং পরে জানতে পারি তিনি মারা গেছেন।
পরকীয়া প্রেমের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন, তার ভাশুর আব্দুর রশিদ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করতেছেন।
কথিত ওই পরকীয়া প্রেমিক গোলাম রব্বানীর সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, তিনি একজন পল্লী চিকিৎসক। মানুষকে সেবা দেওয়াই তার কাজ। তিনি মৃত আব্দুল জলিলের দাফনের আগে গোসল দিয়েছেন। এটাই তার অপরাধ। তাই তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ।
এ ব্যাপারে লালমনিরহাট সদর থানার ওসি শাহ আলম বলেন, মৃত ব্যক্তি জলিলের মৃত্যুর ব্যাপারে অনুসন্ধানীমূলক কাজ শুরু হয়েছে। তদন্তের আগে কিছুই বলা যাবে না এটি হত্যা না কি স্বাভাবিক মৃত্যু।