হেলেনা জাহাঙ্গীর- ফাইল ফটো
সময় সংবাদ ডেস্কঃ
দেশে ভুঁইফোড় সংগঠন তৈরি করে আলোচনার জন্ম দেওয়া ব্যবসায়ী হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব।
শুক্রবার বিকেল পৌনে ৬ টায় তাকে হস্তান্তর করা হয়। র্যাবের একটি দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে, হেলেনাকে আটক ও তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের সংক্রান্ত বিষয়ে র্যাবের সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ব্রিফ করা হয়।
সম্মেলনে ব্রিফ করেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন ।
জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, হেলেনা জাহাঙ্গীরকে অস্ট্রিয়া প্রবাসী আলোচিত সেফুদা নাতি হিসেবে সম্বোধন করতেন। সেফুদার সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল এবং তার সঙ্গে হেলেনা জাহাঙ্গীরের লেনদেনও ছিল।
সেফুদা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের মাধ্যমে দেশবাসীর নজর কাড়তে চেষ্টা করেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে।
খন্দকার আল মঈন বলেন, অপকৌশলের মাধ্যমে নিজেকে ‘মাদার তেরেসা’, ‘পল্লীমাতা’, ‘প্রবাসীমাতা’ হিসেবে পরিচয় ধারণের চেষ্টা করেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। এজন্য ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন জয়যাত্রা ফাউন্ডেশনকে। তার পৃষ্ঠপোষকতায় একটি চক্র ভুয়া খেতাবের অপপ্রচার চালাতো।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরো বলেন, বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সংস্থা ও ব্যক্তি থেকে জয়যাত্রা ফাউন্ডেশনের নামে অর্থ সংগ্রহ করতেন হেলেনা। যা মানবিক সহায়তায় ব্যবহারের চেয়ে তার খেতাব প্রচার-প্রচারণায় বেশি ব্যবহার করা হতো। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রেখে নিজের বিভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতেন হেলেনা। তিনি ১২টি ক্লাবের সদস্যও।
তারও আগে, র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক ইমরান হোসাইন বলেন, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা ও ব্যক্তিদের সম্মানহানি করার অপচেষ্টার অভিযোগে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হচ্ছে।
এছাড়া মাদক, বিদেশি মুদ্রা ও বন্যপ্রাণীর চামড়া উদ্ধারের ঘটনায় আলাদা মামলা করা হবে বলেও জানান এএসপি ইমরান।