কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাইওয়ে প্রকল্পের ব্লুপ্রিন্ট |
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
আরেকটি মহাসড়ক হলো কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর করা। একে বলা হয় দুই জেলার অর্থনৈতিক রূপান্তরের প্রকল্প। ৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মহাসড়কটি নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সড়কপথে দুই জেলার মধ্যে দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার কমে যাবে।
কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য কিউএএম বাহা উদ্দিন বাহার সম্প্রতি একটি অনলাইন সেলিব্রেটি আড্ডায় অংশ নেন। সেখানেই তিনি এসব কথা বলেন।
এমপি বলেন, মহাসড়কটি কুমিল্লা শহরের কাপ্তান বাজার থেকে ব্রাহ্মণপাড়া, বুড়িচং ও কসবা উপজেলা পর্যন্ত গোমতী নদী পার হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সঙ্গে যুক্ত হবে। প্রকল্পটি বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন থাকলেও সরকারের চলতি মেয়াদে কাজ শুরু হবে। মহাসড়কের কাজ শেষ হলে সব এলাকায় যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে এবং দুই জেলার অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনগণকে আর সেনানিবাস দিয়ে চক্কর দিয়ে কুমিল্লায় আসতে হবে না।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ (আরএইচডি) কুমিল্লা সূত্র জানায়, কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহাসড়ক প্রকল্পের আওতায় ৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘ চার লেন প্রশস্ত সড়কের দুই পাশে দুটি পৃথক লেন বিশিষ্ট সড়ক নির্মাণ করা হবে। কুমিল্লা জেলার বুড়িচং, মুরাদনগর, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা ও আখাউড়া উপজেলা এই মহাসড়কের সাথে যুক্ত হবে। বাজার এলাকার জন্য 4.48 কিলোমিটার ফুটপাথ নির্মাণ করা হবে।
এ ছাড়া প্রকল্পের আওতায় ১৪টি সেতু, একটি ফ্লাইওভার, দুটি আন্ডারপাস, ৫০টি কালভার্ট ও ১২টি ফুট ওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। এর ফলে দ্রুত এবং নিরাপদ যান চলাচলের পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন হবে।
আরএইচডি কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা বলেন, কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহাসড়ক প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য আর.এ.এম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীও আড্ডায় অংশ নেন। তিনি বলেন, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্যের পাশাপাশি কুমিল্লা অর্থনৈতিকভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-কুমিল্লাকে সড়ক যোগাযোগের মাধ্যমে যুক্ত করতে পারলে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নও হবে।
মোঃসাইফুল্লাহ /সময় সংবাদ