![]() |
আদমদীঘিতে দেনার দায়ে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা | সময় সংবাদ |
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি :
দেনার চাপে বিধান বর্মন (৫০) নামের এক ব্যবসায়ী গলায় দড়ির ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। গত ৩ জুলাই রোববার সকাল ১০টায় আদমদীঘির মুরইলে তার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের নির্মানাধীন ঘরের ভিতরে এ ঘটনা ঘটায়।
বিধান বর্মন আদমদীঘির নসরতপুর ইউপির পুশিন্দা হিন্দুপাড়ার অনিল বর্মনের ছেলে ও দুই সন্তানের জনক। এ ব্যাপারে আদমদীঘি থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বিধান বর্মন নিজ ও তার স্ত্রীর নামে বিভিন্ন এনজিও এবং ব্যক্তিদের নিকট থেকে বিপুল পরিমান টাকা কর্জ গ্রহন করে। দেনার চাপে কিছুদিন পূর্বে সে আত্মগোপনে ছিল।
বেশ কয়েক দিন আগে তার মুরইলে মেসার্স তৃপ্তি ট্রেডার্স নামের রড সিমেন্টের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিধান বর্মন আসে। এরপর পাওনাদাররা জানতে পেরে টাকা আদায়ের জন্য বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে টাকা পরিশোধ করার জন্য চাপ দেয়। কয়েক দিন আগে জনৈক পাওনাদার টাকার জন্য তার বাড়ি থেকে গরু নিয়ে যায়। দেনাদারের চাপে বিধান বর্মন আত্মহত্যা করেছে বলে তার ছেলে মিহির বর্মন জানায়। বিধান বর্মন বিপুল পরিমান টাকা দেনাগ্রস্থ বলে স্থানীয়রা জানান।
গত ৩ জুলাই সকালে পাওনাদাররা মুরইলে বিধানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে টাকার জন্য চাপ দেয়। এসময় বিধান বর্মন পাওনাদারদের বসে রেখে পাশের নির্মানাধীন ঘরে সকলের অজান্তে বৈদ্যুতিক পাখা লাগানো রডের সাথে গলায় দড়ির ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। সে ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে দেরি হওয়ায় স্থানীয়রা ঘরের জানালা দিয়ে দেখে বিধান রায় গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে রয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ বেলা ১২ টায় বিধান বর্মনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মডিকাল মেডিকাল কলেজ হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে তার মৃত্যুটি প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে উপ পরিদর্শক তারেক রহমান জানান।