সঞ্জিব দাস, ফরিদপুর :
ফরিদপুরে কুমার নদ রক্ষা অভিযানের মধ্যেই শহরের একটি স্থানে কুমার নদের পাড়ে চলছিলো অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে সেই অবৈধস্থাপনা উচ্ছেদ করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। এসময় তার সাথে আনসার ব্যাটেলিয়নের একটি দল অভিযানে অংশ নেয়।জানা গেছে, শহরের পূর্ব খাবাসপুরে কোহেল মোহরির নদীর ঘাট এলাকায় নদীর একটি বিরাট অংশ জুড়ে গত দুইদিন যাবত বাঁশ-খুটি গেড়ে অবৈধস্থাপনা নির্মাণের তোড়জোড় চলছিলো। বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানতে পেরে মঙ্গলবার দুপুরে সেখানে অভিযান চালানো হয়।
এবিষয়ে ফরিদপুরে সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিয়াউর রহমান বলেন, সাংবাদিকদের মাধ্যমে খবর পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে সেখানে অভিযান চালিয়ে নির্মিতব্য অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। লিটন নামে এক ব্যক্তি ওই স্থাপনা নির্মাণ করছিলো বলে জানতে পেরেছি। তবে উচ্ছেদ অভিযানকালে তাকে পাওয়া যায়নি। এ সময় সেখানে পড়ে থাকা বেশ কিছু কাঠ জব্দ করে নিয়ে আসা হয়। এসব কাঠ নিতে আসলে তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলেও তিনি জানান। আশেপাশের বাড়িগুলোকে এ বিষয়ে সতর্কতা জানিয়ে দেয়া হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন সাংবাদিকদের।
ফরিদপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়, গত জুন মাসে কুমার নদের কচুরিপানা অপসারণের মাধ্যমে কুমার নদ রক্ষা অভিযান শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে নদীর দখল ও দূষণরোধে পদক্ষেপ নেবেন তারা।
ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা বলেন, কুমার নদের অবৈধস্থাপনার তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে। আরো প্রায় দেড় মাস লেগে যেতে পারে। এরপর এসব অবৈধস্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করা হবে। তিনি বলেন, কুমার নদের এই অংশে নতুন করে কাউকে কোন জমি বন্দোবস্ত দেয়া হচ্ছেনা গত কয়েকবছর যাবত। তাই যারা নদীর সীমানায় বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করেছেন তারা সকলেই অবৈধ দখলদার হিসেবেই চিহ্নিত হবেন। আইনী জটিলতা এড়াতে আমরা জেলা প্রশাসন, ভূমি অফিসের সাথে যোগাযোগ করে প্রকৃত তথ্যের ভিত্তিতে অবৈধ দখলদারদের চিহ্নিত করছি। এজন্য অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ অভিযান শুরু করতে বিলম্ব হচ্ছে।