![]() |
রাঙামাটিতে ভূমি কমিশনের বৈঠক বাতিল না হলে হরতালের ডাক |
মহুয়া জান্নাত মনি, রাঙামাটি :
আগামী ১৯ অক্টোবর (রোববার) রাঙামাটিতে নির্ধারিত ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের বৈঠক বাতিল না হলে হরতালসহ কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাঙামাটির সচেতন ছাত্র–জনতা।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১১টায় শহরের একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, “পিসিসিপি’র আট দফা দাবি বাস্তবায়ন না করে ভূমি কমিশনের বৈঠক আয়োজনের চেষ্টা করা হলে রাঙামাটির শান্তিপ্রিয় মানুষকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলনে নামা হবে। প্রয়োজনে হরতালসহ বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়া হবে।”
১. পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনে জনসংখ্যা অনুপাতে সকল জাতিগোষ্ঠীর সমান প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা।
২. ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির আগে ভূমির বর্তমান অবস্থা নির্ধারণে পূর্ণাঙ্গ ভূমি জরিপ সম্পন্ন করা।
৩. জাতি–ধর্ম নির্বিশেষে সবার ন্যায্য অধিকার রক্ষায় সংবিধানবিরোধী ভূমি কমিশন সংশোধনী আইন–২০১৬ বাতিল করা।
৪. পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি ব্যবস্থাপনা দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় এনে জেলা প্রশাসককে বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষমতা প্রদান।
৫. কমিশনের সিদ্ধান্তে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে সরকারি খাসজমিতে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা।
৬. ভূমি কমিশনের চেয়ারম্যানের ক্ষমতা ২০০১ সালের আইন অনুযায়ী বলবৎ রাখা।
৭. প্রচলিত “রীতি ও প্রথা”র পরিবর্তে বিদ্যমান ভূমি আইন অনুসারে কমিশনের কার্যক্রম পরিচালনা।
৮. সরকার কর্তৃক জেলা প্রশাসকের বন্দোবস্তীকৃত বা কবুলিয়ত প্রাপ্ত জমি থেকে কাউকে উচ্ছেদ না করা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) রাঙামাটি জেলা সভাপতি তাজুল ইসলাম তাজ, সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ মোশাররফ হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব পরিষদের সভাপতি মো. নূর হোসেন, এবং পিসিএনপি রাঙামাটি জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবিরসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।