![]() |
| জয়পুরহাটে চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ |
নিরেন দাস, জয়পুরহাট প্রতিনিধি:
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় চোর সন্দেহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় এক ইউপি সদস্যসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে নিহতের পরিবার লিখিত অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ঘটনাটি ঘটে আক্কেলপুর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের কাশিরা বাজারসংলগ্ন কুমিরপুকুর গ্রামে। নিহত যুবকের নাম সুজন মিয়া (২৭)। তিনি ওই গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাশিরা বাজার হাট অফিসের একটি কক্ষে ইউপি সদস্য সেলিম রেজার নেতৃত্বে কয়েকজন ব্যক্তি সুজন মিয়াকে আটক করে চোর সন্দেহে মারধর করেন। অভিযোগ রয়েছে, একপর্যায়ে তার গলায় রশি বাঁধা অবস্থায় ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পাওয়া যায়।
খবর পেয়ে আক্কেলপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে পাঠায়।
ময়নাতদন্তের আগে নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে বলে জানায় পরিবার। তাদের দাবি, এটি আত্মহত্যা নয়; বরং পরিকল্পিতভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতের স্ত্রী মারুফা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, “গতকাল সন্ধ্যায় সেলিম মেম্বার ফোন করে আমার স্বামীকে ডেকে নেয়। সেখানে তাকে মারধর করে সারারাত হাত-পা বেঁধে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। আমি সন্তানদের নিয়ে রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করেও স্বামীকে ফেরত পাইনি। সকালে ফোন করে সে জানায়, তাকে থানায় দেওয়া হবে নাকি ছেড়ে দেওয়া হবে—এ নিয়ে আলোচনা চলছে। কিছুক্ষণ পরই শুনি, সে মারা গেছে। সেলিম মেম্বারসহ ১০–১২ জন মিলে আমার স্বামীকে হত্যা করেছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।”
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, চুরির কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়াই সুজন মিয়াকে আটক রেখে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। তারা দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
অভিযোগের বিষয়ে ইউপি সদস্য সেলিম হোসেন বলেন, “গ্রামবাসী চুরির সন্দেহে তাকে আটক করেছিল। আমি তাকে উদ্ধার করে কাশিরা বাজারের হাটখোলা কক্ষে রাখি। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তারা আসেনি। সকালে শুনি, সে আত্মহত্যা করেছে।”
এ বিষয়ে পুলিশ জানায়, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে তদন্ত চলছে।

