| রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন রাজবাড়ীর বীর সন্তান শহীদ শামীম রেজার |
রাজবাড়ী প্রতিনিধি:
সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালনকালে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য মো. শামীম রেজাকে (২৮) নিজ গ্রাম রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার হোগলাডাঙ্গিতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে।
গত ১৩ ডিসেম্বর সুদানে শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত অবস্থায় সন্ত্রাসীদের চালানো ড্রোন হামলায় ছয়জন বাংলাদেশি সৈনিক নিহত হন। তাদের মধ্যে রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের হোগলাডাঙ্গি গ্রামের মো. আলমগীর ফকিরের ছেলে সৈনিক মো. শামীম রেজা শহীদ হন।
রবিবার (তারিখ উল্লেখযোগ্য হলে যুক্ত করা যাবে) বেলা দুইটার দিকে সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে শামীম রেজার মরদেহ কালুখালী উপজেলা মিনি স্টেডিয়ামে আনা হয়। সেখান থেকে মরদেহ তার গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হলে শোকের মাতমে ভারী হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। কিছু সময় মরদেহ বাড়িতে রাখার পর পারিবারিক কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
দাফনের আগে সেনাবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহীদ শামীম রেজার মরদেহে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয় এবং গার্ড অব অনারের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান করা হয়। পরে ধর্মীয় রীতিতে তাকে দাফন করা হয়।
শহীদ শামীম রেজা তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন। তার বাবা মো. আলমগীর ফকির স্থানীয় একটি মসজিদের খাদেম। শামীম রেজা দেড় বছর আগে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
এলাকাবাসী ও স্বজনরা জানান, শামীম রেজা ছিলেন অত্যন্ত ভদ্র, সৎ ও দায়িত্ববান মানুষ। এলাকার মানুষের সঙ্গে তার নিবিড় সম্পর্ক ছিল এবং তিনি সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সেনাবাহিনীতে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তারা শোকসন্তপ্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে সরকারের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
নিহত শামীম রেজার ভাই সোহেল ফকির বলেন, “শামীম আমাদের পরিবারের প্রধান উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। তার মৃত্যুতে আমরা মানসিক ও আর্থিকভাবে ভেঙে পড়েছি। সরকারের কাছে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা কামনা করছি।” তিনি আরও জানান, দায়িত্ব পালনকালে সুদানের আবেই শহরে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় তার ভাই শহীদ হন।
