![]() |
| ৪১৩ কোটি টাকা ব্যায়ে আনোয়ারা–চন্দনাইশ গাছবাড়িয়া ২১ কিলোমিটার সড়ক অনুমোদন |
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :
কর্ণফুলী টানেলের ব্যবহার বৃদ্ধি ও কক্সবাজার-মহেশখালী-মাতারবাড়িগামী যানবাহনের যাতায়াত সহজ করতে আনোয়ারা থেকে চন্দনাইশের গাছবাড়িয়া পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার দীর্ঘ বিকল্প সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪১৩ কোটি টাকা।
গত মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপার্সন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। চট্টগ্রাম দক্ষিণ সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
একনেক সূত্রে জানা যায়, অনুমোদিত প্রকল্পের আওতায় কর্ণফুলী টানেল (আনোয়ারা) থেকে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার জাতীয় মহাসড়কের গাছবাড়িয়া পর্যন্ত সংযোগ সড়ক উন্নয়ন করা হবে। এতে বিদ্যমান সড়ক সংস্কার ও প্রশস্তকরণের পাশাপাশি প্রায় ২ দশমিক ৫ কিলোমিটার নতুন বাইপাস সড়ক নির্মাণ করা হবে।
সওজের পরিকল্পনা অনুযায়ী, টানেল পার হয়ে শিকলবাহা ওয়াই জংশন থেকে যানবাহনগুলো এই বিকল্প সড়ক ব্যবহার করে দ্রুত কক্সবাজার ও দোহাজারী এলাকায় পৌঁছাতে পারবে। এছাড়া কালাবিবিরদীঘি মোড় থেকে শোলকাটা হয়ে ছৈয়দকুচাইয়া মোড় পর্যন্ত বাইপাস সড়ক তৈরি করে দোহাজারী রেলস্টেশনের কাছাকাছি গাছবাড়িয়ার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা হবে। এতে দুর্যোগকালীন ও জরুরি পরিস্থিতিতে জাতীয় মহাসড়কের ওপর চাপ কমবে।
দোহাজারী–কক্সবাজার রেললাইন এবং পটিয়া–কক্সবাজার সড়কের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে এই ২১ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটিকে গুরুত্বপূর্ণ বিকল্প রুট হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে গাছবাড়িয়া–আনোয়ারা জেলা সড়কটি ১৮ ফুট থেকে বাড়িয়ে ৩৪ ফুট প্রশস্ত করা হবে।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ সড়ক বিভাগের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ জানান, যেকোনো দুর্যোগ ও আপদকালীন সময় বিকল্প সড়ক হিসেবে ব্যবহারের লক্ষ্যেই ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে প্রকল্পটির ডিপিপি একনেকে পাঠানো হয়।
সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, এই সড়ক নির্মাণ সম্পন্ন হলে কর্ণফুলী টানেল হয়ে ঢাকা থেকে কক্সবাজার ও দক্ষিণ চট্টগ্রাম অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। এতে লক্ষাধিক মানুষ সরাসরি উপকৃত হবে।
উল্লেখ্য, একই একনেক সভায় মোট ২২টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এসব প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৬ হাজার ৪১৯ কোটি টাকা, যার মধ্যে সরকারি তহবিল, প্রকল্প ঋণ এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে অর্থায়ন করা হবে।

