![]() |
| আমতলীতে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত জনজীবন |
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি :
বরগুনার আমতলীতে গত দুই দিন ধরে ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে স্বাভাবিক জনজীবন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরতে থাকায় উপজেলাজুড়ে দৃষ্টিসীমা অনেক স্থানে ৬০ মিটারের নিচে নেমে এসেছে। দিনভর সূর্যের দেখা মিলছে না, ফলে শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে।
গ্রামাঞ্চলের বাড়িঘরে শীত নিবারণের জন্য মানুষকে খড়কুটা জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও নিম্ন আয়ের মানুষ শীতে সবচেয়ে বেশি কষ্টে রয়েছেন।
ঘন কুয়াশার কারণে সড়কগুলো ভিজে ও পিচ্ছিল হয়ে পড়েছে। এতে দিনের বেলাতেও যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করতে হচ্ছে, যা দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
কলাপাড়া আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় আমতলীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তীব্র শীত ও কুয়াশায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। জীবিকার তাগিদে বাইরে বের হওয়া শ্রমিক ও যানবাহন চালকরা চরম বিপাকে পড়েছেন। একই সঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে।
দিনমজুর হাফিজ বলেন, “দুই দিন ধরে কাজে যেতে পারছি না। সূর্যের মুখই দেখা যায় না, কুয়াশায় কিছুই বোঝা যায় না।”
চাওড়া ইউনিয়নের চন্দ্রা গ্রামের বাসিন্দা হাসান মাদবর জানান, শীতের কারণে এলাকায় গলা ব্যথা, সর্দি ও কাশির প্রকোপ বেড়েছে।
ছুরিকাটা গ্রামের কৃষক আবুল হোসেন বলেন, “অনেক বাড়িতে সারা বছরের জন্য ধান সিদ্ধ করা হয়েছে। রোদ না থাকায় চাল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।”
আমগড়াগাছিয়া এলাকার টুনটুনি বেগম জানান, অতিরিক্ত শীতে ঘর থেকে বের হওয়াই কঠিন হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়দের মতে, তীব্র শীত থেকে রক্ষা পেতে দ্রুত শীতবস্ত্র বিতরণসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা বাড়ানো জরুরি।

