ফরিদপুর প্রতিনিধি :
ফরিদপুর শহরের পশ্চিম খাবাসপুর এলাকায় ফিল্ম স্ট্যাইলে এক যুবলীগ নেতার এস.এস.সি পরীক্ষার্থী মেয়েকে অপহরণের চেষ্টা করেছে একদল সন্ত্রাসী। এসময় ঘটনায় বাধা দেওয়ায় বাড়ীর পাশের স্থানীয় এক সংখ্যালঘু পরিবারের উপর হামলা ভাংচুর করা হয়। হামলায় গুরত্বর আহত পলাশ রায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ফরিদপুর শহরের পশ্চিম খাবাসপুর এলাকায় ফিল্ম স্ট্যাইলে এক যুবলীগ নেতার এস.এস.সি পরীক্ষার্থী মেয়েকে অপহরণের চেষ্টা করেছে একদল সন্ত্রাসী। এসময় ঘটনায় বাধা দেওয়ায় বাড়ীর পাশের স্থানীয় এক সংখ্যালঘু পরিবারের উপর হামলা ভাংচুর করা হয়। হামলায় গুরত্বর আহত পলাশ রায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় থানায় অভিযোগের পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও রাতে অভিযান চালিয়ে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ফরিদপুর শহরের পশ্চিম খাবাসপুর মাঝি পাড়ার বাসিন্দা ১৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি ঔষধ ব্যবসায়ী টিপু মাতুব্বরের এস.এস.সি পরীক্ষার্থী মেয়েকে শনিবার রাত ৮.৩০ দিকে একদল সন্ত্রাসী ফিল্ম স্ট্যাইলে হাত বোমা ফাটিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহকারে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে। মেয়েটিকে অপহরণের চেষ্টা করে। এসময় মেয়ে ও তার পরিবারের চিৎকারে একই এলাকার বাসিন্দা বাড়ীর পাশের প্রতিবেশেী পলাশ রায় ও তার স্ত্রী সুপ্তি রানী এগিয়ে এসে বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা খুব্ধ হয়ে পলাশের বাড়িতে হামলা করে। ঘরের আসবাবপত্র ও প্রতিমা ভাংচুর করে বাড়ির সদস্যদের মারধর করে বলে সুপ্তি রানী জানান। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিটিয়ে পলাশকে অজ্ঞান করে ফেলে। তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। গুরত্বর আহত অবস্থায় এলাকাবাসী পলাশকে হাসপাতালে ভর্তি করে ও তার স্ত্রীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়।
টিপু মাতুব্বর জানান, গত দুই বছর ধরে এলাকার বখাটে আশরাফুল আমার মেয়েকে পথে ঘাটে উৎতক্ত করে আসছিল বিষয়টা আমি তার পরিবারকে কয়েকবার বলেছি লাভ হয়নি। শনিবার রাতে আশরাফুল, আকরাম, নাইম ও জীবনসহ ১০-১২ জন যুবক প্রথমে আমার বাড়ির দোতালায় হাত বোমা মারে তখন আমরা চমকে যাই। এর কিছুক্ষণ পর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসীরা আমার বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে সরকারি গালস্ স্কুলের শিক্ষার্থী আমার মেয়েকে জোর করে উঠিয়ে নেবার চেষ্টা করে তখন আমরা চিৎকার দেই। এ সময় এলাকার একটি হিন্দু পরিবার আমাদের সাহায্যে এগিয়ে এলে তাদের বাড়িতে ব্যাপক হামলা ভাংচুর করে। পরে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি অপহরণের চেষ্ট করা ব্যক্তিরা স্থানীয় ভাবে প্রভাবশালী।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসিম সিদ্দিকি বলেন রাতে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি এবং অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করি বাকীদেরর গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment