ফরিদপুর প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সহস্রাইল বাজারে অবস্থিত রুবেল সার্জিক্যাল ক্লিনিকে গত ৯ ফেব্রæয়ারী হামিদা বেগম (৫০) নামে এক গৃহবধূর চিকিৎসা সেবা চলা কালীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামিদা উপজেলার গঙ্গানন্দপুর গ্রামের বকুল মোল্যার স্ত্রী।
হামিদার স্বামী বকুল মোল্যা জানান, আমার স্ত্রী দীর্ঘ দিন জরায়ূ ক্যান্সারে আক্রান্ত থাকায় গত ৬ ফেব্রæয়ারী ওই ক্লিনিকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে আসে। ক্লিনিকে আসার পর ক্লিনিকের মালিক মো. ফরিদুল আলম বলেন, আমার স্ত্রী আছিয়া বেগম নিজেই এই ক্লিনিকের স্বাস্থ্য সেবিকা এবং আমি নিজেই মালিক। ঢাকা থেকে বড় ডাক্তার এনে কম টাকায় আপনার অপরেশন করা হলে আপনি দ্রæত সুস্থ হয়ে যাবেন। ওইদিনই হামিদাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে সেবিকা আছিয়া বেগম নিজেই অস্ত্রপাচার করেন এবং নিজেই ডাক্তারের প্যাডে ওষুধ লিখে দেন। অপরেশনের পর থেকে হামিদা ওই ক্লিনিকেই ভর্তি থাকেন। ভর্তি থাকা অবস্থায় গত ৯ ফেব্রæয়ারী শনিবার বিকেল ৪টার দিকে হামিদা মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে। ক্লিনিক মালিক মৃত্যুর কথা বুজতে পেরে তরিঘড়ী করে রোগী পক্ষকে বলেন, এখনি আপনার রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর নিতে হবে বলে বেড থেকে নামিয়ে দেন। হামিদাকে নিয়ে তার স্বজনরা ফরিদপুরে উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথের মধ্যে গেলে তার স্বজনরা বুজতে পারে সে মারা গেছে।
এ বিষয়ে ক্লিনিকের মালিকের ছেলে রুবেল বলেন, এ অপোরেশন করেছে গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজের ডাক্তার আলী-আকবর। এ বিষয়ে জানতে হলে তাকে ফোন করুন তা ছাড়া আমাদের ক্লিনিকে বৈধ কাগজ পত্র আছে এবং আমার মা স্বাস্থ্য সেবিকা হিসেবে বিভিন্ন প্রশিক্ষন গ্রহন করে এ কাজ করেন।
ডা. আলী-আকবরের ০১৭১১৩০২৯৩৪ নাম্বরে মুঠোফোনে ফোন করে এই ঘটনার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই রোগীর অপারেশন আমাকে দিয়ে করানো হয় নাই অহেতু আমাকে জড়ানো হচ্ছে।
ডা. আলী-আকবরের ০১৭১১৩০২৯৩৪ নাম্বরে মুঠোফোনে ফোন করে এই ঘটনার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই রোগীর অপারেশন আমাকে দিয়ে করানো হয় নাই অহেতু আমাকে জড়ানো হচ্ছে।
বোয়ালমারী উপজেলা প.প. কর্মকর্তা ডা. তাপস বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি খতিয়ে দেখবো।
থানা অফিসার ইনচার্জ একে এম শামীম হাসান বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে ওই ক্লিনিকে যায়। এখন লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখা হবে, যদি দোষি হয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এরআগে রোগির মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে বোয়ালমারীর থানার ওসি (তদন্ত) মো. সহিদুল ইসলাম সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করেন।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ আবু জাহের বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত পূর্বক দ্রæত ক্লিনিক মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তিনি বলেন তাদের রোগী মারার লাইসেন্স কে দিলো। আমি উপজেলা প.প. কর্মকতার্র সাথে কথা বলে ক্লিনিকটি সিল গালা করে দিবো।
No comments:
Post a Comment