র্যালী ও আলোচনা-ছবি রানা আহমেদ |
রানা আহমেদঃ-দিবসটি উপলক্ষে সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. সেলিনা নাসরিন এর নেতৃত্বে শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রায় অত্র হলের আবাসিক ছাত্রীদের অংশগ্রহণে শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।
শোভাযাত্রা শেষে প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. সেলিনা নাসরিন এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড.মাহবুবর রহমান।
এ সময় তিনি বলেন,নারী-পুরুষ আলাদা বিষয় নয়,দক্ষতা যার আছে সেই সামনে এগিয়ে আসবে। জীবনে নারীর অবদানের স্বীকৃতি দিতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর জীবনে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এর অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন ৭ই মার্চের ভাষণ দিতে যাবেন তখন খুব উদ্বিগ্ন ছিলেন যে তিনি ভাষণে কি বলবেন। তখন সঙ্গীরা ভিন্ন চিরকুট উপস্থাপন করেন।এমতাবস্থায় বঙ্গবন্ধু খুব উদ্বিগ্ন ছিলেন,এটি দূর থেকে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব খেয়াল করেন যে ওনার স্বামী অস্থিরতায় ভোগছেন।তখন তিনি সামনে এগিয়ে এসে সবগুলো চিরকুট হাতে তুলে নিয়ে বলেন,দাঁড়িয়ে বক্তব্য দেয়ার সময় মনে যা আসে সেই কথাগুলো বলবে। বঙ্গবন্ধু চলে গেলেন ভাষণ দিতে,চিরকুট ছাড়া ভাষণ দিলেন। সেই ভাষণ আমাদের দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ, দেশ স্বাধীন করেছে এবং ওয়ার্ল্ড ডকুমেন্টারি হেরিটেজ হিসেবে জাতিসংঘে স্বীকৃত পেয়েছে।সুতরাং এ ভাষণের পিছনে হাত রয়েছে নারীর।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন ছাত্র উপদেষ্টা পরেশ চন্দ্র বর্ম্মন,প্রক্টর (ভারঃ) আনিসুর রহমান,শেখ হাসিনা হলের হাউজ টিউটর শাহবুব আলম।এছাড়াও উক্ত হলের আবাসিক ছাত্রী প্রিয়াঙ্কা বোশ রাখি, রেখা আক্তার ঝুমাসহ অন্যান্য ছাত্রীরা নারী দিবসের প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য প্রদান করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সাফিয়া হক।
No comments:
Post a Comment