নাটোরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মানে অনিয়মের অভিযোগ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বুধবার, অক্টোবর ০২, ২০১৯

নাটোরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মানে অনিয়মের অভিযোগ


আবু মুসা,নাটোর থেকে//
নাটোরের বড়াইগ্রামের কামারদহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় চার তলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট দ্বিতল ভবন নির্মানে অনিয়মের অভিযোগ উঠায় প্রায় দেড় মাস যাবত নির্মান কাজ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। প্রাককলন অনুসারে দ্রত নির্মান কাজটি সমাপ্তির জন্য জোর দাবী জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবকবৃন্দ। ভবন নির্মানে অনিয়মের অভিযোগ উঠায়, সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের বিদ্যালয়ে আগমনের কথা শুনে গত মঙ্গলবার সেখানে জড়ো হয় এলাকাবাসী সহ কয়েক শত অভিভাবক। 

গত ২০ আগষ্ট সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ বরাবর ভবন নির্মানে অনিয়মের অভিযোগ তোলেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সালমা খাতুন। তিনি জানান, কামারদহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চারতলা ফাউন্ডেশন যার প্রাককলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৭১ লাখ ৮৪ হাজার ৫শ’ টাকা। নির্মান কাজটি ঠিকাদার ও প্রকৌশলী চারতলার মূল ডিজাইন গোপন করে দোতলার ডিজাইন দিয়ে কাজ করছে। চরতলা ফাউন্ডেশনের এস্টিমেটে রড ধরা আছে সি-১ কলামে ২০ মি.লি রড ১৬ টি, সি-২ কলামে ২০ মি.লি রড ১৪ টি, সি-৩ কলামে ২০ মি.লি রড ১০ টি। কিন্তু ঠিকাদার ও প্রকৌশলী যোগসাজসে দুই তলা ফাউন্ডেশনের ডিজাইন দিয়ে কাজ করছে। যেখানে ব্যবহার করেছে সি-১ কলামে ২০ মি.লি রড ১০ টি, সি-২ কলামে ২০ মি.লি রড ১০ টি, সি-৩ কলামে ২০ মি.লি রড ৮ টি। ইহা চারতলা ফাউন্ডেশনের ডিজাইন বহির্ভুত কাজ। ডিজাইন ও এস্টিমেট বহির্ভুত কাজে ম্যানেজিং কমিটি বাধা দেওয়ার পরেও উপজেলার উপ সহকারী প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন কর্নপাত না করে কাজ করে যাচ্ছিলেন। বিষয়টি অত্যন্ত জন গুরুত্বপূর্ন বিবেচনা করে, তদন্তপূর্বক  প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ বরাবর লিখিত আবেদন দাখিল করেছিলাম প্রায় দেড় মাস আগে। তারপর থেকে নির্মান কাজ বন্ধ রয়েছে। 

কামারদহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নাসিমা খাতুন একান্ত সাক্ষাৎকারে এ প্রতিবেদককে জানান, নির্মান কাজের উপকরণাদি ইট, বালি,সিমেন্ট ও রড ছিল নিমনো মানের। শুরু থেকেই কাজ দেখে সন্দেহ হচ্ছিল। ঠিকাদারের কাছে সিডিউলের কপি চাইলেও দেয়নি তারা। এ বিষয়ে অভিযোগ দায়েরের পর বিষয়টি তদন্তের জন্য গত মঙ্গলবারে আসার কথা ছিল রাজশাহী অঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের। সেজন্য কয়েক শত অভিভাবক তাদের অপেক্ষায় ছিলেন। উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুর রহিম আমাকে জানিয়েছিলেন আমি স্যারদের রিসিভ করার জন্য আহমেদ বাস স্ট্যান্ড এলাকায় আছি। কিন্তু দুপুর দুইটার দিকে মুঠো ফোনে তিনি জানান স্যারেরা আসবেন না। জরুরী ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন। তিনি আরো জানান, শ্রেণি কক্ষের অভাবে শিশুদের নিয়ে আমরা কয়েক মাস যাবত বিপাকে আছি। পুরাতন কক্ষগুলোতে ক্লাস করা অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। সাব ঠিকাদার শ্যামল কুমার সাহা মঠো ফোনে জানান, আমি নওগাঁ ঠিকাদারের কাছ থেকে দোতলা ভবন নির্মানের দায়িত্ব নিয়েছি। আমার কাছে থাকা সিডিউলের ভিতরে থাকা দুই তলা ফাউন্ডেশন ও দ্বিতল ভবন নির্মানের কাজ করেছি। তবে এই কাজে বাধা আসায় আপাততঃ কাজটি বন্ধ রয়েছে ও সিডিউলে উপরের পাতায় কিছু ভুল রয়েছে। 

এলাকার ইউপি সদস্য ফেরদৌস আলম সহ এলাকাবাসীর জোর দাবী সরকারী সিডিউল মোতাবেক স্কুলের ভবনটি পুনরায় নতুন করে নির্মান করে কমলমতি শিশুদের পাঠ দানের ব্যবস্থা করা হোক। 
অঃঃধপযসবহঃং ধৎবধ

Post Top Ad

Responsive Ads Here