সময় সংবাদ ডেস্ক//
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ‘তুর্ণা নিশীথা’ এবং দউদয়ন এক্সপ্রেস' ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও শতাধিক লোক। দুর্ঘটনার পর রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, তুর্ণা’র লোকোমোটিভ মাস্টার সিগনাল ভঙ্গ করেছেন। দুর্ঘটনার জন্য তিনিই দায়ী। এজন্য তাৎক্ষণিকভাবে তুর্ণা নিশীথা’র লোকোমোটিভ মাস্টার ও সহকারী মাস্টারকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এদিকে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেসের গার্ড আবদুর রহমান বলেছেন, ‘স্টেশনে ঢোকার সময় একটি বাঁক আছে। ওই বাঁকের মাথায় ইট থাকার কারণে আমরা সিগন্যাল লাইটটি দেখতে পাইনি। বাঁক পার হওয়ার পর সিগন্যালাটি চোখে পড়লে চালক ইমারজেন্সি ব্রেক করেন। কিন্তু এরপরও ২০ সেকেন্ডের মধ্যে তূর্ণা নিশীথা উদয়নের সঙ্গে ধাক্কা লাগে।’
উদয়নের চালক (লোক মাস্টার) সানাউল টিপু বলেন, ‘আমরা রাইট ট্র্যাকেই ছিলাম। কিন্তু তূর্ণা নিশীথা সিগন্যাল না মানায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমরা আগেই স্টেশনে পৌঁছে গিয়েছিলাম।’এতে আমাদের চারটা বগি দুমড়ে মুচড়ে গেছে। আমাদের ১০, ১১, ১২, ১৩ একেবারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১১ নম্বর বগি।’
দুর্ঘটনার কারণ তদন্তে এখন পর্যন্ত পাঁচটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। রেললাইন থেকে বগি সরানোর কাজ করছে দু’টি রিলিফ ট্রেন। এছাড়া পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি, ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও স্থানীয়রা উদ্ধার কাজ করছে।
দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে এক লাখ টাকা এবং আহতদের ১০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে রেল মন্ত্রণালয়। এছাড়া নিহতদের দাফনের জন্য ২৫ হাজার টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।