সঞ্জিব দাস, ফরিদপুর থেকে :
নতুন সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ কার্যকর হওয়ার পর থেকে ভীড় বেড়েছে ফরিদপুর বিআরটিএ অফিসে। এখানে প্রতিদিন বেড়েই চলছে গাড়ীর মালিক ও ড্রাইভারদের ভীড়। প্রতিদিন সেবা দিতে হিমসিম খাচ্ছে এইখানে কর্মরত থাকা ৬জন কর্মকর্তা ও কর্মচারি। তার উপর বর্তমানে এখানে নেই সহকারী পরিচালক। অন্য জেলার একজনকে দিয়ে কোনমতে চলছে সেবা কার্যক্রম। যাকে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দেয়া হয়েছে তিনি তিন জেলার দায়িত্ব একাই সামলাচ্ছেন। আর এ কারনে সমস্যা ও কাজের জটিলতা আরো বেশি প্রকট আকার ধারন করেছে অফিসটিতে।
জানাযায়, নতুন সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ কার্যকর হওয়ার কারনে গাড়ীর চালকরা ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ীর রেজিষ্ট্রেশন ও অন্যান্য কাজের জন্য ছুটে আসছেন বিআরটিএ অফিসে। প্রতিদিন গড়ে ১৫০ জনের ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। একই সাথে প্রতিদিন এখানে ২০০/২৫০ টি ফাইল জমা পড়ছে রেজিষ্ট্রেশনের জন্য। এছাড়াও অন্যসব কাজের চাপ তো রয়েছে অফিসে। সব মিলিয়ে এই অফিসে ৬জন কর্মকর্তা ও কর্মচারি সেবা দিতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছে এখন প্রতিনিয়ত।
ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে আসা রাজু নামের একজন বলেন, এখানে সেবার মান খুব ভালো। তবে সহকারী পরিচালক না থাকায় আমাদের এখানে সমস্যা হচ্ছে। তার সাক্ষর সহ অন্য কাজের জন্য অমাদের ঘুড়তে হচ্ছে। শুনেছি তিনি নাকি তিন জেলার দায়িত্বে।
ঢাকা থেকে গাড়ীর রেজিষ্ট্রেশন চেঞ্জ করতে আসা মজনু নামে একজন বলেন, আমি ঢাকা থেকে এসেছি সব কাজ শেষ শুধু সহকারী পরিচালক না থাকার কারনে আমাকে আবার আসতে হবে। তিনি বলেন ফরিদপুর এতো বড় একটি জেলা এখানে কেন ভারপ্রাপ্ত দিয়ে কাজ করতে হবে, পুনাঙ্গ একজন দিয়ে দিলেই হয়।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর বিআরটিএ অফিসের মটরযান পরিদর্শক হাবিবুর রহমান জানান, নতুন সড়ক পরিবহন আইন হওয়ার পর থেকে কাজের চাপ প্রচন্ড বেড়ে গেছে। সকাল থেকে অনেক রাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে আমাদের। গ্রাহকদের সামলাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে।
এরপর আবার এখানে সহকারী পরিচালক স্যার বদলি হওয়ার পর নতুন কাওকে এখানে পুনাঙ্গ দায়িত্ব দেয়া হয়নি। একজন স্যারকে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তিনি আরো দুই জেলার দায়িত্ব রয়েছেন। তাকে ভাগ করে তিনটি জেলা দেখতে হয়। এছাড়া এখানে মাত্র ৬জনকে দিয়ে পুরো জেলার কাজ করতে হচ্ছে। লোকবল সংকট প্রচুর। তারপরেও আমরা চেষ্টা করছি সব্বোর্চ মানের সেবা দেওয়ার জন্য সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের।
এদিকে সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের দাবি অতিদ্রুত ফরিদপুর বিআরটিএ অফিসে একজন সহকারী পরিচালক দায়িত্ব দিয়ে এই সেবার মান বাড়ানো হইক।
