ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী প্রতিনিধি -
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় গত শুক্রবার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আ’লীগের পররাষ্ট্র প্রতিমন্তী শাহরিয়ার আলম এবং সাবেক এমপি রায়হান দুই দলের সর্মথকদের মাঝে টানটান উত্তেজনা। ঘটে যাওয়া দ্ব›েদ্ব ধারল দেশী অস্ত্রের আঘাতে গুরুত্বর ১জন আহত হয়েছে। উক্ত ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে শনিবার দিনভর চারঘাটে নিরব উত্তেজনা চলমান আছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চারঘাট বাজারে থানা পুলিশ নিরাপত্তার কাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, উপজেলার গোপালপুর গ্রামের শুকটার ছেলে রেন্টু (মাছ ব্যবসায়ী) রাত ৮টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে প্রতিপক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে আঘাত করে এবং তার দুই পায়ের রগ কেটে পালিয়ে যায়। এসময় তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। রোগীর অবস্থা আশংকাজনক দেখে কর্তব্যরত ডাক্তার আহত রেন্টুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রামেক হাসপাতালে প্রেরণ করে।
ঘটনার অনুসন্ধানে জানাযায়, বর্তমান সময়ে আ’লীগ সবায়। দেশের একমাত্র রাজনৈতিক দল তা হচ্ছে আ’লীগ এমনি মনভাব সবার মধ্যে বিরাজ করছে। স্থানীয় নেতাকর্মীর সহযোগিতায় বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের নেতা কর্মীরা ইতোপূর্বে চারঘাট আ’লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনে যোগ হয়েছে। যাদের পূর্বের ইতিহাস হামলা আর মামলায় জড়িত। সর্বপরি তুচ্ছ ঘটনা এখন দলীয় করনে রুপান্তর হয়েছে বলে স্থানীয়দের অনুমান।
আহত রেন্টুর ভাই রতন আলী বাদী হয়ে মেরামতপুর গ্রামের মৃত ইলু মন্ডলের ছেলে ইয়াজ উদ্দিনকে প্রধান আসামী কওে মোট ১৫ জনের বিরুদ্ধে চারঘাট মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই রাতেই মডেল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামী ইয়াজ উদ্দিনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে গতকাল রবিবার আদালতের মাধ্যমে আসামীদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
চারঘাট মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় চারঘাট বাজারে মটরসাইকেল ও মহিষের গাড়িতে ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মেরামতপুর গ্রামের মৃত ইলু মন্ডলের ছেলে ইয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে এবং ওই রাতেই থানা পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত প্রধান আসামী শুকটাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। তারই জের ধরে চারঘাট সদর এলাকায় থমথমেভাব বিরাজ করছে।
উভয়পক্ষ থেকে পৃথক পৃথক দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। উভয়পক্ষের ৪জনকে আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে এবং অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে তিনি জানান।