ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী-
বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির (বিপিএ) অপরিকল্পতি ব্যবস্থপনার কারনে স্থানীয় গ্রামবাসীরা বিভিন্ন অমানবিক ও অত্যাচার ভুগছে। ১৯৯৩ সালে সারদা বাজারের সঙ্গে বিপিএ পুলিশ কর্তৃক দ্ব›দ্ব, ১৯৯৪ সালে বিচ্ছিন্ন ভাবে থানাপাড়া গ্রামের কিছু অংশ এবং কুঠাপাড়া গ্রামের বেশ কিছু জমি দখল রয়েছে বিপিএ কতৃক। তবে চলমান আছে পদ্মার চর দখলের পায়তারা।
“পুলিশ জনতা জনতায় পুলিশ” এই উক্তি শুধু কাব্যিক বাস্তবে তার কোন মিল নেই। ১৯১২ সালে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলকায় অবস্থিত বিপিএ। ইতোপূর্বে স্থানীয়রা পুলিশদের সাথে বন্ধুৃ থাকলেও ১৯৯৩ সাল থেকে জোড়ালে ভাবে স্থানীয়দের নানা আতঙ্কে মুখে রেখেছে বিপিএ কতৃপক্ষ।
সম-সময়ে প্রতিষ্ঠিত সরদা বাজার জিম্মি আছে বিপিএ’র কাছে। শুধু তাই নই থানা পাড়া কুঠিপাড়ার অসহায় ও গরীবদের অনেক ভিটা মাঠির জমি তাদের দখলে। আজ অবদি তারা তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পাইনি। বর্তমান নতুন কৌশলে পদ্মার চর অনুমান ১শত একর ও তার বেশি তারকাটার বেড়া দিয়ে জবর দখল করেছে বিপিএ।
স্থানীয় কৃষকরা এই চরে রবি শষ্যসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষাবাদ করেন। কিন্ত বিপিএর জবর দখলের কারনে কৃষকরা নদীর একাংশ চরে প্রবেশ করতে পারছে না। বিভিন্ন মামলা এবং পুলিশিং অত্যাচারের ভয়ে কেউ নাম প্রকাশ করে কিছু বলার সাহস ও পাচ্ছে না।
যার বাস্তবে মিল রয়েছে অনেক, আজ বৃহস্পতিবার সকালে পদ্মা নদীর চরে গিয়ে দেখা যায় পদ্মা নদীর চরে পুকুর খনন করা হয়েছে। বিপিএ’র সকল বর্জ্য নদীর চরে ফেলেছে যাতে জমির উর্বরতা ও নদীর পানি বিষাক্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে বলে স্থানীয়দের ধারনা। এসময় তারা অভিযোগ করে বলে, বাতাসে ভেসে আসা পচাঁ র্দূগন্ধ এবং মশা, মাছি তীরবর্তী এলকার বাড়িতে গুন গুন করছে।
প্রতিদিন সকাল ও বিকাল বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির (বিপিএ) ষ্টাফদের অবশিষ্ট খাবার, ব্যবহারিত পলিথিন এবং নানা বর্জ্য উপকরণ নদীর চরে ফেলছে। এই পচাঁ খাবার খাচ্ছে শিয়াল, কুকুরসহ বিভিন্ন পশু পাখি। একটু মৃদু বাতসের বেগে বর্জ্য গুলো চাষাবাদ জমি এবং নদীতে পড়ছে। যা এক সময় ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। এই ব্যবস্থপনা চলতে থাকলে পরিবেশ ও বায়ু দূষণের কারনে এলাকার সিংহ ভাগ জনতা নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুকি আছে বলে মনে করছেন চিকিৎসক।
সর্বপরি রাজশাহী চারঘাট-বাঘা (৬) আসনের এমপি পররাষ্ট প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, স্থানীয় প্রশাসন, দলীয় নেতা কর্মী বিষয় গুলো অবগত থাকলেও এর কোন স্থানীয় সমাধান আজ অবধি হয়নি। তবে এই দিন দিন নই অরো দিন আছে, স্থানীয় জনগন উত্তর আদায় করবে সময় সাপেক্ষে। পরিশেষে স্থানীয় জনগনরা বলেন, গরীবের দুঃখ বুঝতেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মায়ার আচলে রেখেছেন শেখ হাসিনা বাকি সব মিছে মায়ার বন্ধনে মিথ্যা ছলনা।
আজ বৃহস্পতিবার এবিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) আনিছুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি কিভাবে পদ্মা নদীর চর তারকাটা দিয়ে দখল করেছে, নদীতে পুকুর খনন এবং সকল বর্জ্য নদীর চরে ফেলছে তা তাদের জানা নেই। নদীর বিষয়ে উর্ধ্বত্তন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে নিশ্চিত হতে পারবে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ নাজমুল হক।


