মোঃ মাসুদ আলম:
করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর আক্রমনে দিশেহারা পৃথিবী। বিশ্বের উন্নত ইউরোপের দেশগুলোও করোনা মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে।সেখানে দিন দিন বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা।রোগটি ছোঁয়াচে হওয়ায় থামানো যাচ্ছে না কোনো ভাবেই।
পৃথিবীর প্রায় ১৯৫ টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে করোনা ভাইরাস যা কোনোভানেই ঠেকাবো যাচ্ছে না।চেষ্টা চলছে প্রতিষেধ আবিষ্কারের।
বাংলাদেশেও প্রবেশ করেছে করোনা ভাইরাস।এরই মধ্যে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সরকারী সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। স্থগিত করা হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা,লকডাউন করা হয়েছে কয়েকটি উপজেলা-শহর।বন্ধ করে দেয়া হয়েছে রেল যোগায়োগ,নৌ চলাচল,গনপরিবহণ।
বাংলাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯ জন,মৃত্যুর সংখ্যা ৫জন এবং সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ৫ জন।
এই রোগের প্রতিষেধ না থাকায় এখন সচেতনতাই কেবল পারে মানুষকে এই রোগ থেকে বাঁচাতে। তাই সফিপুরের সচেতন শিক্ষার্থীরা "প্রগতিশীল সফিপুর নামে একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী টিম গঠন করে নিজেরাই উদ্যেগ নিয়েছে মানুষকে সচেতনতার বার্তা পৌছে দেওয়ার।
আজ রোজ (২৫ মার্চ) বুধবার এই সেচ্ছাসেবী সংগঠন ৪র্থ দিনেও দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে করোনা সচেতনতায় লিফলেট বিতরন করেন,সেনিটাইজার দ্বারা হাত ধুয়া কর্মসূচি পালন করেন এবং হ্যান্ডমাইকে বুঝিয়ে দেন কি কি করনীয় এই বৈশ্বিক মহামারির হাত থেকে বেঁচে থাকার জন্য।৪র্থ দিনে আজকের এই প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেন মোঃ রাকিব ফরাজি, ফাহাদ ঢালী,জুবায়ের হোসেন মঈন,নাইম,নাজিম,ইমাম খান,অনিক মুন্সী,সাইম হোসেন,নাদিম মাহমুদ,বাধন, বেলায়েত, নোমান ঢালী,মনির হাওলাদার,জাকারিয়া,রিফাত,রুহুল আমিন সহ আরো অনেকে।
উল্লেখ্য,নির্বাহী সদস্য রাকিব ফরাজী বলেন,জনগনকে করোনা থেকে সচেতন করাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য।গ্রামীন সমাজ অনেক কিছুই বুঝেনা,তাদেরকে বুঝানোই আনাদের কাজ।আজকে আমরা সেনিটাইজার দ্বারা হাত ধোয়ার কর্মসূচি পালন করি।আরেক সদস্য ফাহাদ ঢালী বলেন, এই করোনা বৈশ্বিক সমস্যা,কিন্ত এর কোনো কার্যকরী ঔষধ এখনো কেউ আবিষ্কার করতে পারেনা।তাই জনসচেতনতা ছাড়া আর কোনো উপায় নাই।জনসাধারণকে আমরা প্রাকটিক্যাল ভাবে শিখিয়ে দিচ্ছি কিভাবে হাত ধৌত করতে হবে।হাঁচি কাশি দেওয়ার সময় রুমাল,টিস্যু অথবা হাত ভাঁজ করে দিতে হবে এই বিষয়েও সতর্ক করতেছি।
No comments:
Post a Comment