কুড়িগ্রামের উলিপুরে ব্রহ্মপুত্র নদে ঝড়ের কবলে পড়ে নৌকা ডুবির ঘটনায় সুলতান মিয়া নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন স্থানীয়রা।
নিখোঁজের একদিন পর শনিবার সকাল ৯টার দিকে ডুবে যাওয়া স্থান থেকে দূরের ভাটির চরে তার মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা উদ্ধার করেন। কিন্তু ডুবে যাওয়া তার মেয়ে শিরিনা খাতুন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
নিহত ব্যক্তি রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার মধ্যপাড়া গ্রামের কাচুয়া শেখের ছেলে।
স্থানীয় সাহেবের আলগা ইউপি চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, নৌকা ডুবিতে নিখোঁজ হওয়া সুলতান মিয়ার মরদেহ শনিবার সকালে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাটির চরে দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের লোকজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে তার নিখোঁজ মেয়ে শিরিনা খাতুনকে পাওয়া যায়নি। এলাকার লোকজন তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করছেন।
উলিপুর থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন একজনের মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউপির মোল্লরহাট ঘাট থেকে বৃহস্পতিবার সুলতান মিয়া, তার স্ত্রী জোবেদা বেগম, মেয়ে শিরিনা খাতুনসহ পরিবারের ৬ সদস্যকে নিয়ে স্থানীয় শাহ্ আলম মিয়ার নৌকায় উঠে সাহেবের আলগা ইউপির কাজিয়ার চর গ্রামের শ্বশুর আজিজ মোল্লার বাড়িতে দাওয়াত খেতে রওনা দেন।
নৌকাটি ওই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ব্রহ্মপুত্র নদের ফকিরের চর ও মশালের চরের মাঝামাঝি পৌঁছালে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে নৌকাটি ডুবে যায়। এ সময় নৌকায় থাকা ১০ যাত্রীর মধ্যে ৮ জনকে অপর একটি মাছ ধরার নৌকা উদ্ধার করলেও সুলতান মিয়া ও তার মেয়ে শিরিনা খাতুন নিখোঁজ হয়।
সময়/দেশ/রাজ