কলাপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে অনুদানের কথা বলে অর্থ আত্মসাৎ - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

শনিবার, জুন ২০, ২০২০

কলাপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে অনুদানের কথা বলে অর্থ আত্মসাৎ




রাসেল কবির মুরাদ , কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি  //

কলাপাড়ায় নভেল করোনা ভাইরাসের কারনে কর্মহীন মানুষের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে অনুদান হিসেবে প্রতি জনকে নগদ ২৫০০ টাকা দেয়া হবে একথা বলে সেই তালিকায় নাম দেবার কথা বলে নগদ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে  নীলগঞ্জ ইউনিয়নে । 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার  সংবাদকর্মীদের কাছে ভ‚ক্তোভোগীরা অভিযোগ করেন, নীলগঞ্জ ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি প্রবীর ব্যাপারী ও ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারন সম্পাদক অমল ব্যাপারী সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা হয়। ওয়ার্ডের সকল ধরনের ত্রাণ বিতরনে তাদের হাত রয়েছে। সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব তহবিল হতে ২৫০০ করে টাকা দেয়ার বিষয়ে ওয়ার্ডের সাধারন মানুষের নামের তালিকা তৈরী করার দায়িত্ব তাদের হাতে আসে। তালিকায় নাম উঠিয়ে ২৫০০ টাকা পাইয়ে দেয়ার কথা বলে স্থানীয়দের কাজ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে যানায়ায়। ছাত্রলীগের প্রভাব খাঠিয়ে ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রবীর ব্যাপারী এ ধরনের একাধিক অনিয়ম করে আসছে। সাথে তার চাচা ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারন সম্পাদক অমল ব্যাপারীর ইন্ধন রয়েছে বলেও জানা যায়। কিন্তু তাদের ভয়ে কেহ মুখ খূলতে সাহস পাচ্ছে না। অভিযোগকারীরা তাদের টাকা ফেরত ও অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন।

স্থানীয় বাসিন্দা কান্ত হালদার, অবিনাশ ঢালী ও সুভাষ চন্দ্র হালদার বলেন, ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি প্রবীর ব্যাপারী প্রধানমন্ত্রীর তহবিলের ২৫০০ টাকা পাইয়ে দেয়ার কথা বলে আমাদের নিকট থেকে ছবি, ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি ও নগদ টাকা নিয়েছে। আজ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর টাকা পাইনি আর আমাদের দেয়া টাকাও ফেরত দেয়নি। 

অভিযুক্ত ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি প্রবীর ব্যাপারী বলেন, তালিকায় নাম দেয়ার কথা বলে আমি কারো কাছ থেকে টাকা নেইনি। তবে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে যাতায়ত ও কাগজ পত্র ফটোকপি করার জন্য ৪/৫জনের কাছ থেকে খরচ বাবদ টাকা নিয়েছে বলে তিনি সংবাদকর্মীদের নিকট স্বীকার করেন।

আরেক অভিযুক্ত নীলগঞ্জ ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারন সম্পাদক অমল ব্যাপারী বলেন, আমি কারো কাছ থেকে কোন টাকা-পয়সা নেইনি। ভাতিজা প্রবীর ব্যাপারী কাগজ পত্র ফটোকপি করার জন্য খরচ বাবদ কিছু টাকা-পয়সা নিতে পারে বলে তিনি জানান।

কলাপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. নাজমুল হোসেন বলেন, ছাত্রলীগের কেহ এধরনের কাজ করে থাকলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মাদ শহিদুল হক এবিষয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তহবিলের অনুদানের টাকা পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।  

20-06-2020(AT)

Post Top Ad

Responsive Ads Here