সময় সংবাদ ডেস্ক//
নাটোরের লালপুর উপজেলায় দ্বিতীয় স্ত্রী তালাক দেয়ার ক্ষোভে প্রথম স্ত্রীকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেছেন স্বামী।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলার মোহরকয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের এলাহী বক্সের পুকুর থেকে স্মৃতি নামে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা তছলিম বাদী হয়ে অভিযুক্ত স্বামী জব্বার আলীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। পরে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার নূরপুর থেকে সোমবার রাতে জব্বারকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে পাঠালে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এ বিষয়ে লালপুর থানার ওসি সেলিম রেজা ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আলী আজম জবানবন্দির বরাত দিয়ে জানান, ছয়-সাত বছর আগে স্মৃতির সঙ্গে জব্বার আলীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের একটি মেয়ে সন্তান হয় যার বয়স এখন পাঁচ বছর। দিনমজুর জব্বার সংসার ঠিকমতো চালাতে পারতেন না। এর জেরে দুই বছর আগে স্মৃতি ঈশ্বরদীর প্রাণ কোম্পানিতে চাকরি নেন।
এদিকে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্কের সূত্রে জব্বার কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার শেরপুরের নবীর উদ্দীনের মেয়ে রোখসানাকে বিয়ে করেন। একপর্যায়ে তিনি দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে কুষ্টিয়ায় বসবাস শুরু করেন। মাস দুয়েক আগে স্মৃতি স্থানীয়দের কাছে তার স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়টি প্রকাশ করেন। এর একপর্যায়ে জব্বারের দ্বিতীয় স্ত্রী তাকে তালাক দেন।
এসব নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হলে জব্বার স্মৃতিকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ঘটনার দিন লালপুর বাজার থেকে তিনি ১০টি ঘুমের ট্যাবলেট কিনে আনেন। স্মৃতি চাকরি থেকে ফেরার পর স্যালাইনের সঙ্গে ট্যাবলেটগুলো মিশিয়ে জব্বার তাকে খাইয়ে দেন। এরপর স্মৃতি ঘুমিয়ে গেলে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে মরদেহ পুকুরে ফেলে দেন তিনি।