সময় সংবাদ ডেস্ক//
মেয়েকে আলাদা ঘরে আটকে রেখে মাকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকা মাকে শেষবারের মতো দেখার সুযোগও পায়নি মেয়ে রুকাইয়া। এমন নির্মম ঘটনা ঘটেছে রংপুরের গঙ্গাচড়ার কিশামত হাবু গ্রামে।
মায়ের লাশ নিয়ে বাবার শাস্তির চেয়ে সড়কে নেমেছে মেয়ে। রংপুর-গঙ্গাচড়া সড়কে এসএসসি পরীক্ষার্থী রুকাইয়ার সঙ্গে যোগ দেয় আরো অনেকে। মেয়ের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে বাবা রবিউল মা রিপাকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যা করে।
নিহত রিপার মেয়ে রুকাইয়া বলেন, বের হয়ে দেখি আম্মু কারেন্টের শক খেয়ে মারা গেছে এবং তার হাতে কারেন্টের তার পেঁচানো ছিলো। আমার সন্দেহ যে, আমার মাকে হত্যা করা হয়েছে তাই আমি এর বিচার চাই।
স্বজনরা জানায়, বিয়ের পর থেকেই রিপাকে নির্যাতন করতেন রবিউল। মঙ্গলবার মেয়েকে নানার বাড়িতে পাঠানোয় রিপাকে অমানুষিক নির্যাতন করেন রবিউল। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকে তার মানে এই নয় যে তাকে বৈদ্যুতিক তার দিয়ে মারতে হবে। আমরা এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।
ময়নাতদন্তের পর রিপার লাশ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় গঙ্গাচড়া মডেল থানায় একটি মামলা হয়েছে। বিষয়টি অধিকতর তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানায় পুলিশ।
গঙ্গাচড়া মডেল থানার এসআই মনোয়ারুল আকতার বলেন, তদন্ত প্রক্রিয়ায় কারো জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযুক্ত রবিউল কৃষি পেশার সঙ্গে যুক্ত। তাকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।