সময় সংবাদ ডেস্ক//
আসন্ন নির্বাচনে দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন গ্রহণ করেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে বিশাল জনতার সামনে দলের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন তিনি। এ সময় ৭০ মিনিটের দীর্ঘ বক্তৃতা রাখেন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যার প্রায় পুরোটা জুড়েই ছিল ডেমোক্র্যাট দল ও তার প্রার্থী জো বাইডেন এবং কমলা হ্যারিসের প্রতি আক্রমণ ও সমালোচনা৷
ট্রাম্প তার দলের নেতাদের সতর্ক করে বলেন, নভেম্বরে হোয়াইট হাউসে জো বাইডেন জিতলে যুক্তরাষ্ট্রের স্বপ্ন ধ্বংস হয়ে যাবে। ডেমোক্র্যাটরা হিংস্র নৈরাজ্যবাদীদের নিরপেক্ষভাবে সুযোগ দেবে।
তিনি আরো বলেন, এই নির্বাচন সিদ্ধান্ত নেবে যে আমরা মার্কিনিদের স্বপ্নকে বাঁচাতে পারবো কিনা বা আমরা কোনো সমাজতান্ত্রিক এজেন্ডাকে আমাদের লালিত ভাগ্য ভেঙে ফেলার অনুমতি দেই কিনা তা আমাদের ওপর নির্ভর করছে।
আপনার ভোটটি সিদ্ধান্ত নেবে যে, আমরা আইন মেনে চলা মার্কিনিদের সুরক্ষা দেব নাকি হিংস্র নৈরাজ্যবাদী, আন্দোলনকারী এবং আমাদের নাগরিকদের হুমকি দেয়ার অপরাধীদের মুক্ত রাজত্ব তৈরি করে দেব।
ট্রাম্প বলেন, বিরোধীদল নভেম্বরের নির্বাচন চুরি করতে পারে। একমাত্র চুরির মাধ্যমে জো বাইডেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হতে পারেন। এছাড়া সুযোগ নেই তার।
এ নির্বাচনকে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুধু একটি উপায়েই বিরোধীরা এ নির্বাচন জিততে পারবে, আর সেটা হলো কারচুপি। অন্যথায় আমরাই জিততে চলেছি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ডেমোক্র্যাটরা নির্বাচনে জিততে করোনাভাইরাসকে ব্যবহার করতে চায়। কিন্তু তারা ব্যর্থ হবে৷ আমেরিকাকে রক্ষার জন্য রিপাবলিকানদের আবারো দায়িত্ব নিতে হবে।
ট্রাম্প আরো বলেন, ডেমোক্র্যাটরা নৈরাজ্যবাদী, আন্দোলনকারী, দাঙ্গা, লুটেরা এবং পতাকা জ্বালিয়ে সামনে আসতে চায়। এটি তাদের কাজ। তবে আমি, আপনার প্রেসিডেন্ট হিসেবে এর অংশ হতে পারব না। রিপাবলিকান পার্টি হবে যুক্তরাষ্ট্রকে সুরক্ষিত রাখার প্রাচীর এবং যুক্তরাষ্ট্রের পতাকাটিকে সালাম জানায় এমন দেশপ্রেমিক বীরদের আমি শ্রদ্ধা করি।
এ সময় তিনি জো বাইডেনকে বিশ্বাসঘাতক মন্তব্য করে বলেন, তার হাতে আমেরিকা নিরাপদ হবে না।
এর আগে আতশবাজির মাধ্যমে ২০০০ সদস্যের উপস্থিতিতে রিপাবলিকান দলের সম্মেলন শুরু হয় স্থানীয় সময় সোমবার। শুরুতেই রিপাবলিকান জাতীয় সম্মেলনে ট্রাম্পকে দ্বিতীয় মেয়াদে মনোনয়ন দেয়া হয়। এর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণাও শুরু করেন ট্রাম্প।