![]() |
| অপহৃত কামাল ফকির (২৫) |
নাজমুল হাসান নিরব,ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় অপহরনের ১৩ দিন পরেও খোজঁ মেলেনি সদর ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা গ্রামের মোশারফ ফকিরের ছেলে কামাল ফকিরের (২৫)।
জানা যায়, করোনাভাইরাস দেশে আঘাত হানার পুর্বে টাঙ্গাইলে ডেনটিং(গাড়ির মেরামত কাজ) কাজ করত কামাল। করোনার ছুটিতে বাড়িতে আসার পর আর কাজে ফেরা হয়নি তার। গত ২৩ শে অক্টোবর শুক্রবার কাজের কথা বলে ঢাকা যেতে বলে তার পুর্বপরিচিত বন্ধু পার্শ্ববর্তী সদরপুর উপজেলার বাবুরচর ইউনিযনের ওহাব মাতুব্বরের ছেলে জুয়েল (৩৫)। পরেরদিন ২৪ শে অক্টোবর শনিবার সকাল ৯ টার দিকে বাড়ি থেকে ঢাকার উদ্যেশ্যে রওনা দেন তিনি। গোপলপুর ঘাটে বন্ধুদের সাথে কলা-রুটি খাওয়ার পর স্পীড বোডে পদ্মা নদী পর হন তিনি। সেসময় সর্বশেষ তার ছোট বোনের সাথে কথা হয় তার। বিকেলে,পরে রাত্রে ফোন দিলে তার বন্ধু জুয়েল ফোন ধরেনি। পরেরদিন সকালে জুয়েল জানায় কামাল তাদের সাথে যায়নি। সেমবার (২৬/১০/২০২০) কামালের নাম্বারের ফোন থেকে কল করে কুষ্টিয়া থেকে ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে কামলকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসতে বলে অজ্ঞাত নামা একজন। মঙ্গলবার আবার ফোন করে গালিগালাজ করে সে। এসময় কামালের বাবা থানায় একটা প্রাথমিক অভিযোগ করেন। এর পরে কামাল,জুয়েল সকলের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
নিখোজঁ কামালের মা জানান,“কাজের কথা বলে আমার ছেলেকে নিয়ে মেরে ফেলেছে জুয়েল।আমার একটামাত্র পোলা কামাল ,ওকে ছেরে আমারা কিভাবে থাহুম”।আমি আমার ছেলেকে ফেরৎ চাই!
কামালের বাবা মোশারফ ফকির জানান, চরটা মেয়ের পর আমার একটি ছেলে কামাল, ২৫ হাজার টাকার কাজ দেওয়ার কখা বলে আমার ছেলেকে ডেকে নেয় জুয়েল।এখন জুয়েল কামালের কোন খোঁজ দিতে পারেনা। আবার শুনেছি ওরা আমার ছেলেকে মেরে ফেরেছে। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।
চরভদ্রাসন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজনীন খানম জানান,অপহরনের ঘটনাটি সত্য,এ ব্যাপারে জুয়েল কে আসামী করে পেনাল কোর্ট ৩৪৪,৩৬৫,৩৮৫ ধারায় মামলা করেন নিখোঁজ কামালের বাবা মোশারফ ফকির। আসামিদের ধরার চেষ্ঠা চলছে। লাশের খোঁজ মেলেনি,তবে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

