সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে কোমর পানিতে জুম্মার নামাজ আদায়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। গতকাল ২৮ মে শুক্রবার ইয়াসের তান্ডবে ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষ সবকিছু উপেক্ষা করে পানিতে জুম্মার নামাজ আদায় করেন। আর এ নামাজের ছবি ফেসবুকে প্রকাশ হলে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাল হতে থাকে।
দুদিনে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ঘটনাটি আশাশুনি উপজেলার প্রতাবনগর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের। ঘটে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের তান্ডবে উপকূলবর্তী প্রতাবনগর, খাজরা, আনুলিয়া সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের নদীর পানিতে প্লাবিত হয়েছে। আর এতে ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় বসতবাড়ি, মসজিদ—মন্দির, মৎস্যঘের সহ সব কিছু তলিয়ে গেছে। যা এ এলাকার মানুষের দূর্ভোগে পরিণত হয়েছে। প্লাবিত এলাকার রাস্তাঘাট, বাজার, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এখন পানির নিচে। যার ফলে পানির সাথে যুদ্ধ করে চলছেন তারা। এমন অবস্থায় পানির মধ্যে শুক্রবার জুম্মার নামাজের আয়োজন করা হয়।
প্রতাবনগরের ৫নং ওয়ার্ডে আবস্থিত প্রতাবনগর মোতায়াল্লিন গাজীবাড়ি জামে মসজিদের ভিতর কোমর পানিতে জুম্মার নামা আদায় করতে হাজির হন ঐ এলাকার মানুষ। আল্লাহ ফরজ বিধান পালন করতে এবং দূর্দশা থেকে মুক্তি পেতে এলাকাবাসী কাধে কাধ মিলিয়ে নামাজ আদায়ে হাজির হন।
স্থানীয় যুবক হাবিবুর রহমান জানান, আমফানের পর আমাদের এলাকা প্লাবিত হয়। প্রায় মাস পর বেড়িবাধ সম্পন্ন হয়। দুইমাস আগে বাধ নির্মান সম্পন্ন হয়। কিন্তু ইয়াসের তীব্র পানির চাপে নতুন করে বেড়িবাধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়েছে। আমাদের বাড়িঘরে পানি তর তর করছে। খাওয়ার পানির সংকট সহ বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। আমরা চাই একটি স্থায়ী বেড়ি বাধ নির্মান হোক। তিনি আরো বলেন, গতকাল হাওলাদারবাড়ি জামে মসজিদে তিনি নামাজ পড়তে যানি। কিন্তু বিষয়টি ফেসবুকে দেখে স্থানীয়দের কাছ থেকে নিশ্চিত হয়।
এদিকে ঐ মসজিদের নামাজ পড়াতে আসা ইমাম বাবলু রহমান জানান, জুম্মার দিনে প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ জনের মত মুসল্লি হয় মসজিদে। কিন্তু দূর্যোগের কারণে ঐদিন ৫০জনের মত মানুষ এক সাথে নামাজ আদায় করেন। মসজিদের ভিতরে পানি থাকায় দাঁড়িয়ে নামাজ সম্পন্ন করা হয়।