সময় সংবাদ ডেস্কঃ
ফেনীর দাগনভূঞায় রান্না করা খাদ্যে চেতনা নাশক মিশিয়ে দুই পরিবারের সদস্যদের অচেতন করে স্বর্ণালংকার ও টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার রাতে ফেনীর দাগনভূঁঞা উপজেলার রাজাপুর ইউপির অলিপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিন মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার সকালে দুই পরিবারের নারী-শিশুসহ ৯ জনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন আবদুস ছাত্তার, জ্যোসনা আক্তার, হারুনুর রশিদ, সুমাইয়া বেগম, আবুল হোসেন, আফিয়া আক্তার, মো. সোহাগ, ইব্রাহিমও হুজাইফা।
জানা যায়, সোমবার রাতে দাগনভূঁঞা উপজেলার রাজাপুর ইউপির অলিপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিন মিয়ার বাড়িতে আবদুস ছাত্তার ও তার ভাই আবুল হোসেনের ঘরের সবাই রাতের খাবার পেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। মঙ্গলবার সকালে ওই দুই পরিবারের দুটি ঘরের দরজা খোলা থাকলেও কেউ ঘুম থেকে উঠে বাইরে বের হয়নি। ওই দুই পরিবারের কোনো লোকজনের কথাবার্তার শব্দও শুনতে পায়নি বাড়ির অন্যান্য পরিবারের লোকজন।
বেলা বাড়লে প্রতিবেশীরা ওই দুই পরিবারের ঘরের সামনে গিয়ে তাদেরকে ডাকাডাকি করতে থাকে। এতেও ঘরের ভেতর থেকে কারো কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীরা ঘরে ডুকে সবাইকে অচেতন ও ঘরের আলমারির দরজা খোলা, অন্যান্য জিনিয়পত্র এলোমেলো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তখনই তাদের সন্দেহ হয় এবং অচেতন সবাইকে উদ্ধার করে ফেনী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ফেনী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. ইকবাল হোসেন ভূঁঞা জানান, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে অচেতন অবস্থায় দুই পরিবারের নারী শিশুসহ ৯ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদেরকে রাতের খাবারের সঙ্গে উচ্চ মাত্রার ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানো হয়েছিল বলে তাদের ধারণা। চিকিৎসা চলছে। হাসপাতালে ভর্তি ৯ জনের মধ্যে একজন ছাড়া অন্য ৮ জনের অবস্থা উন্নতির দিকে রয়েছে।
দাগনভূঞা থানার ওসি মো. ইমতিয়াজ আহমেদ খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, এটি দুর্বৃত্তদের কাজ। সোমবার সন্ধ্যার পর কোনো অজ্ঞাত ব্যাক্তি পরিবারের সদস্যদের অলক্ষ্যে ঘরে ঢুকে রান্না করা খাবারের মধ্যে চেতনা নাশক জাতীয় কিছু মিশিয়ে দেয়। ওই খাবার পেয়ে সবাই অচেতন হয়ে যায়। এরপর ঘরের জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্ততি চলছে। তদন্ত করে দুর্বৃত্তদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নেওয়ার চেষ্টা চলছে।