সময় সংবাদ ডেস্কঃ
আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার শর্তসাপেক্ষ মুক্তির সময়সীমা শেষ হচ্ছে। এর আগেই নতুন আবেদনের প্রস্তুতি নিচ্ছে তার পরিবার। চেয়ারপার্সন কার্যালয়ের একাধিক দায়িত্বশীলের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানা গেছে।
তবে গতকাল শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়নি। যার ফলে রাজনৈতিক অঙ্গনে তৈরি হয়েছে নানা গুঞ্জন। জামিনের আবেদন না করা হলে বা আবেদন গ্রহণযোগ্য না হলে আবারো জেলে যেতে হবে বিএনপি নেত্রীকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শনিবার সন্ধ্যায় খালেদা জিয়ার বোন সেলিনা রহমান বলেন, আবেদন করা হবে। দেখি, কী করা যায়।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ দুই শর্তে সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার উপধারা ১-এ সাজা স্থগিত দেখিয়ে তিনদফায় এ মেয়াদ বাড়ানো হয়।
খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব আবদুস সাত্তার জানান, তিনি এখনো আবেদনের বিষয়ে অবগত নন। আবেদন তো করতেই হবে। ২৪ সেপ্টেম্বরের আগেই করা হবে আশা করি।
লন্ডন থেকে বিএনপির উচ্চপর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতা জানান, তিনি ধারণা করছেন শামীম ইস্কান্দর আমেরিকা থেকে সহসা না ফিরলে সেলিনা রহমান আবেদন করতে পারেন।
গুলশানের বাসা ফিরোজাতেই আছেন খালেদা জিয়া। শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো নেই বলে জানান তার একান্ত সহকারী আবদুস সাত্তার। তিনি বলেন, ম্যাডামের শরীর বেশি ভালো না। কোনো অগ্রগতি দেখছি না। এ বিষয়ে চিকিৎসকরা ভালো বলতে পারবেন।
এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবীরা বলেন, এ মাসেই আরো বেশ কয়েকটি মামলার শুনানি রয়েছে খালেদার। এছাড়া এ মাসেই তার জামিনের মেয়াদ শেষ। এ অবস্থায় জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন না করে হাত পা গুটিয়ে বসে থাকলে তো খালেদার জেলে যেতেই হবে। কেননা সরকার তো আর দুর্নীতিবাজ আসামির জন্য বার বার দয়া দেখাবে না।

