আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
আফগানিস্তানের কুন্দুজ শহরের একটি মসজিদে গতকাল শুক্রবার বোমা হামলায় কমপক্ষে ৫৫ জন নিহত হয়েছেন বলে জানায় সংবাদ সংস্থা এএফপি। তবে রয়টার্স সংখ্যাটি কমপক্ষে ৪৬ বলে জানায়।
এ ছাড়া তালেবান কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা এপি প্রায় ১০০ মানুষের হতাহতের তথ্য জানায়। তাত্ক্ষণিকভাবে এই হামলার দায় স্বীকার করেনি কেউ। দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় কুন্দুজ প্রদেশের রাজধানী কুন্দুজ শহরের ওই মসজিদে গতকাল জুমার জমায়েতে বোমা হামলার ঘটনাটি ঘটে। আফগানিস্তানে তালেবানের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা ও দেশটি থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের পর এটি সবচেয়ে বড় রক্তক্ষয়ী হামলার ঘটনা।
কুন্দুজের প্রাদেশিক হাসপাতাল সূত্রের বরাত দিয়ে এএফপি জানায়, হাসপাতালে ৩৫ জনের মরদেহ রাখা হয়েছে এবং অর্ধশতাধিক আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া চিকিৎসকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন ডক্টরস উইদাউট বর্ডারসের (এমএসএফ) হাসপাতালের এক কর্মী আরো ২০ জনের মৃত্যু ও বেশ কয়েকজনের আহত হওয়ার তথ্য জানান। হামলার পরপরই তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ হতাহতের সংখ্যা স্পষ্ট না করে জানান, কুন্দুজের একটি শিয়া মসজিদে বিস্ফোরণে বিপুলসংখ্যক মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরো অনেকে।
এমএসএফ হাসপাতালে কর্মরত এক আন্তর্জাতিক সহায়তাকর্মী নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘শত শত মানুষ হাসপাতালের মূল ফটকে ভিড় করে স্বজনদের জন্য কান্নাকাটি করছে। তবে সশস্ত্র তালেবান সদস্যরা ফের বিস্ফোরণের আশঙ্কায় মানুষকে জড়ো হতে বাধা দিচ্ছে।’
তালেবান ক্ষমতায় আসার পর বেশ কয়েকটি হামলার দায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) স্বীকার করলেও গতকালের হামলার ব্যাপারে ওই গোষ্ঠীর দিক থেকে কোনো মন্তব্য আসেনি।
আহত ব্যক্তিদের রক্ত দেওয়ার জন্য দ্রুত প্রাদেশিক হাসপাতালে ছুটে যাওয়া স্থানীয় ব্যবসায়ী জালমাই আলোকজাই যা দেখেছেন সেটাকে ‘ভয়াবহ দৃশ্য’ অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, অ্যাম্বুল্যান্সগুলো ঘটনাস্থল থেকে মানুষের মাথা সংগ্রহ করছিল।
কুন্দুজের ডেপুটি পুলিশ প্রধান দোস্ত মোহাম্মদ ওবায়দা বলেন, বোমা হামলার শিকার বেশির ভাগ মানুষ মারা গেছে। কোনো আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী মসজিদে নামাজিদের ভিড়ে মিশে গিয়ে বিস্ফোরণটি ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে তাঁর ধারণা। এরই মধ্যে এসংক্রান্ত তদন্ত শুরু হয়ে গেছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
No comments:
Post a Comment