চরভদ্রাসনে সরকারি কম্বল মেলেনি বয়স্ক,বিধবা,দুস্থ ও অসহায়দের কপালে! - সময় সংবাদ | Popular Bangla News Portal

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বৃহস্পতিবার, জানুয়ারী ২৭, ২০২২

চরভদ্রাসনে সরকারি কম্বল মেলেনি বয়স্ক,বিধবা,দুস্থ ও অসহায়দের কপালে!

চরভদ্রাসনে সরকারি কম্বল মেলেনি বয়স্ক,বিধবা,দুস্থ ও অসহায়দের কপালে


ফরিদপুর প্রতিনিধি:

সারাদেশে জেঁকে বসেছে শীত। এতে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে ছিন্নমূল, বয়স্ক,বিধবা,দুস্থ ও নিম্নআয়ের মানুষ। প্রচন্ড শীতে হতদরিদ্রদের কিছুটা উষ্ণতা দিতে সারাদেশে কম্বলসহ অন্যান্য শীতবস্ত্র পাঠাচ্ছে সরকার।  আর তা পেতে দীর্ঘদীন ধরে অপেক্ষা করছে অনেকে। তবে অনেকেই সরকারি বরাদ্দের শীতবস্ত্র না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এছাড়া কেউ কেউ কম্বল বিতরণে অনিয়ম ও তা নিম্নমানের বলেও অভিযোগ তুলেছেন। কেউ কেউ বলছেন, ‘প্রতিবারই শোনা যায় সরকারি কম্বল দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আমরা কখনও পাইনি।’  তবে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনের দাবি, চাহিদার তুলনায় শীতবস্ত্র কম হওয়ায় কাউকে কাউকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে।


ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার সদরের প্রায় প্রত্যেকটা গ্রামের বয়স্ক,বিধবা,দুস্থ ,নিম্নআয়ের ও অসহায়দের দ্বারে দ্বারে ঘুরে দেখা যায় এবারের শীতে ১ টা কম্বলও জুটেনি অনেকের ভাগ্যে।


বৃহস্পিতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানজিলা কবির ত্রপা জানান, এ পর্যন্ত যতগুলো কম্বল এসেছে সবগুলো সুষ্ঠভাবে বন্টন করেছি।চরভদ্রাসনের দরিদ্র জনসংখ্যার তুলনায় অনেক কম কম্বল এসেছে।তাই সকলের চাহিদা পূরনে সম্ভব হয়নি।অনেকের অভিযোগ থাকতে পারে।


বুধবার(২৭ জানুয়ারী) রাতে উপজেলার ফাজিলখার ডাঙ্গী গ্রামে যেয়ে দেখা যায় উক্ত গ্রামের দরিদ্র রিক্সাচালক সুলায়মান (৩০) তিন সন্তান নিয়ে কষ্টে দিনযাপন করছে। তিনি জানান,এলাকার প্রতিবেশী স্বচ্ছ পরিবারগুলো সরকারি কম্বল পেয়েছে কিন্তু আমরা কোন কম্বল পাইনি।মেম্বারকে জানালে তিনি জানান মাত্র ১৫ টা কম্বল এসেছিল তা এলাকায় ভাগ করে দিয়েছি আবার আসলে দিব।


পার্শ্ববর্তী বড় বালিয়া ডাঙ্গী গ্রামের বয়স্ক বিধবা মহিলা রাজিয়া(৫৫) জানান,আমি একজন বিধবা,শীতে কষ্ট করি কিন্তু আমার কপালে কোন কম্বল মিলল না। এছাড়া আমি কোন বিধবা,বয়স্ক ভাতা পাইনা।



উপজেলার আরশাদ মাতুব্বরের গ্রামের বিধবা বয়স্ক মহিলা মৃত আলীখার স্ত্রী জানান, আমি এই নদী ভাঙ্গনের পর রাস্তার পাশে আশ্রয় নেই কিন্তু গত ২ বছরে কোন শীতে কম্বল বা কোন সরকারি সহায়তা পাইনি।


এছাড়া বালিয়া ডাঙ্গী বেরিবাধের নদীভাঙ্গন কবলিত আশ্রয়হীন পরিবারগুলো একি ধরনের অভিযোগ করেন। 


এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মাহমুদুল হক টিটু জানান,২০২১-২২ অর্থবছরের এ বছরে দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে দুই ধাপের প্রথম ধাপে ১৮৮০টি এবং দ্বীতিয় ধাপে পাচঁ লক্ষ তিয়াত্তর হাজার টাকা যা দিয়ে ১১০০টি কম্বল কেনা হয়।সর্বমোট ২৯৮০টি কম্বল বিতরন করা হয়।এর মধ্যে উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদে ৪৭৫টি,চর ঝাওকান্দায় ৪০০টি,চরভদ্রাসনে ৫০০টি,এবং গাটিরটেক ইউনিয়নে ৫২৫টি সহ মোট ১৯০০ কম্বল প্রদান করা হয়।বাকি ১০৮০টি কম্বল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা চেয়ারম্যান বিতরন করেন।



সময়/রাজ/বাংলা


Post Top Ad

Responsive Ads Here