ফেনি জেলা আদালত। |
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
প্রেমের সম্পর্ক থেকে শারীরিক সম্পর্কে কিশোরীর গর্ভধারণ। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই যুবক বিয়ে করতে রাজি হননি। পরে ওই যুবকের খালার মাধ্যমে মেয়েকে ওষুধ খাইয়ে সাত মাসের ভ্রুণ নষ্ট করা হয়।
বৃহস্পতিবার ফেনীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অপরাজিতা দাসের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন প্রধান আসামি ও প্রেমিক নজরুল ইসলাম বাচ্চুর খালা।
বাচ্চুর খালার স্বামীর বাড়ি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার ওসমানপুরে হলেও তিনি থাকেন চট্টগ্রামের পাহাড়তলী এলাকায় ভাড়া বাসায়। গত বুধবার দীর্ঘ খোঁজাখুঁজির পর একটি মোবাইল ফোনের ভিত্তিতে পাহাড়তলীর ওই বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে মূল আসামি ও প্রেমিক নজরুল ইসলাম বাচ্চুকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক রয়েছে।
পুলিশ জানায়, বাচ্চু ও কিশোরীর নানার বাড়ি সোনাগাজীর একই এলাকায়। একপর্যায়ে শারীরিক মিলন হয়। এতে ৬ কিশোরী গর্ভবতী হয়। পরে সাত মাসের কিশোরী এক যুবককে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। এতে রাজি না হয়ে বাচ্চু তার খালার মাধ্যমে মেয়েটিকে প্রলুব্ধ করে সাত মাস বয়সী শিশুকে মাদক খাইয়ে নষ্ট করে দেয়।
পরে ওই কিশোর একটি মৃত সন্তানের জন্ম দেয়। এরপর প্রেমিক বাচ্চু বিয়ে করতে অস্বীকার করে পালিয়ে যায়। মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ২০২০ সালের ৯ মে সোনাগাজী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পরে মামলাটি ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ফেনী ডিবির উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওসমান গণি বলেন, মামলার আসামিদের নির্দিষ্ট কোনো ঠিকানা নেই। বিভিন্ন উপায়ে এবং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করা হয়। গত বুধবার চট্টগ্রামের পাহাড়তলী এলাকা থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাচ্চুর খালাকে আটক করা হয়।
তিনি বৃহস্পতিবার ফেনীর বিচারিক হাকিম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ১৬৪ ধারায় মাদক সেবন করে তার সাত মাসের শিশুকে হারিয়েছেন বলে জানান। আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে ফেনী কারাগারে পাঠানো হয়।
তিনি জানান, ওই যুবক পলাতক। তাকে শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।